মিতুকে তিন লাখ টাকায় ‘খুনি’ ভাড়া করে হত্যা করান বাবুল আক্তার

মিতুকে তিন লাখ টাকায় ‘খুনি’ ভাড়া করে হত্যা করান বাবুল আক্তার

চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার চার্জশিট প্রস্তুত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সাবেক এসপি বাবুল আকতারই এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি হতে যাচ্ছেন চার্জশিটে।

আগামী মাসের শুরুতে আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পিবিআই সূত্র।

পিবিআইপ্রধান (অতিরিক্ত আইজি) প্রকৌশলী বনজ কুমার মজুমদার জানান, এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি মামলা। তাই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তদন্তকাজ সম্পন্ন করতে হয়েছে। এর মধ্যে সবকিছু গুছিয়ে আনা হয়েছে। চার্জশিট চূড়ান্ত করা হচ্ছে। আগামী মাসের যেকোনো সময় মামলার চার্জশিট আদালতে পেশ করা হবে।

চট্টগ্রাম জেলা পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরি জানান, মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলার সাক্ষ্য স্মারক জমা দিয়েছেন। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার মূল রহস্য উদ্ঘাটনে তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বলেন, মামলার মূল অভিযোগপত্র ৯ পৃষ্ঠার। এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় দলিলাদি সংযুক্ত করা হয়েছে।

পিবিআই সূত্র জানায়, পিপির অনুমোদন পাবার পর মামলায় চার্জশিট চূড়ান্ত করা হচ্ছে। বাবুল আকতারকে প্রধান আসামি করে মোট সাতজনের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। অপর ছয় আসামি হলেন কামরুল ইসলাম সিকদার মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলাইয়া, মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, খাইরুল ইসলাম কালু ও শাহজাহান মিয়া। এদের মধ্যে বাবুল আকতার, মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন ও শাহজাহান মিয়া কারাগারে রয়েছেন। কামরুল ইসলাম সিকদার মুসা ও খাইরুল ইসলাম কালু পলাতক। অপর তদন্তকালে মোট ৯৭ জনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। এদেও মধ্যে আসামি ভোলাইয়া, ওয়াসিম ও আনোয়ার আদালতের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত একটি আন্তর্জাাতিক সংস্থার কর্মকর্তা গায়ত্রী অমর সিং এর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যাবার কারণে বাবুল আকতারের সঙ্গে স্ত্রী মিতুর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর জের ধরেই বাবুল আকতার ভাড়াটিয়া খুনি ব্যবহার করে মিতুকে খুন করে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত একাধিক আসামি এ কথা আদালতে স্বীকার করেন।