বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে শাহনেওয়াজ রিফাত (রিফাত শরীফ) হত্যা মামলায় আয়েশা সিদ্দিক মিন্নিসহ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া ১৫ আসামির মধ্যে ১৪ জনকে বুধবার (মামলার নির্ধারিত তারিখ) আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার আরেক আসামি রাতুল সিকদার জয়ের বয়স কম হওয়ায় আদালত তাকে আগেই সেফহোমে পাঠিয়েছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে, আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী আগামী ১৪ আগস্ট পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বুধবার আদালতে যাদের হাজির করা হয় এজাহারভুক্ত আসামি মো. হাসান, জয় চন্দ্র সরকার (চন্দন), ওয়ালি উল্লাহ অলি (অলি), রেজোয়ান আলী খান (টিকটক হৃদয়), আল কাইয়ুম (রাব্বি আকন), মো. রাকিবুল হাসান রিফাত (রিফাত ফরাজী) ও রাশিদুল হাসান রিশান (রিশান ফরাজী)।
এ ছাড়া জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার মো. তানভীর হোসেন, নাজমুল হাসান, মো. সাগর, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, কামরুল হাসান সাইমুন, মো. আরিয়ান হোসেন (আরিয়ান শ্রাবন) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি।
মিন্নির পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, সব আসামিদের সঙ্গে আজ মিন্নিকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আদালতে মিন্নি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম গাজী জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন গ্রহণ করেন। সেই সঙ্গে মামলার মূল নথি জজ আদালত থেকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনার নির্দেশ দিয়েছেন। মূল নথি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসলে মিন্নির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জবানবন্দি প্রত্যাহারের শুনানি হবে বলেও জানান তিনি।
আরিয়ান শ্রাবন ও কামরুল হাসান সাইমুনের পক্ষের আইনজীবী মোস্তফা কাদের বলেন, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শ্রাবন ও সাইমুনের করা জামিন আবেদন প্রত্যাহার ও সাইমুনের অনার্স প্রথম বর্ষ মানোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি চাইলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আবেদন দুটি মঞ্জুর করেন।
২৬ জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে রিফাতকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল নেওয়ার পর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। রিফাত হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত মিন্নিসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা সবাই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। প্রধান আসামি নয়ন বন্ড ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
তবে মামলার এজাহারভুক্ত ১২ আসামির মধ্যে এখনো চারজন গ্রেপ্তার হয়নি। তারা হচ্ছেন− মুসা, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রায়হান ও রিফাত হাওলাদার।