মুক্ত ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

মুক্ত ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. ফরহাদ হোসেন প্রায় ৫২ ঘণ্টা পর সাধারণ শিক্ষার্থীদের হস্তক্ষেপে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়েছেন।

আজ শুক্রবার দুপুরে সোয়া একটায় তিনি মুক্ত হয়ে ক্যাম্পাসের মসজিদে নামাজ আদায় করেন।

এর আগে ১৪ দফা দাবিতে গত বুধবার সাড়ে ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা উপাচার্যকে অবরোধ করে রাখে।

 

এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে প্রথমে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জননেতা আব্দুল মান্নান হলের সামনে এসে উপস্থিত হয়। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে থামে। এরপর শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ফরহাদ হোসেনকে মুক্ত করতে তার কার্যালয় ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের এমন উদ্যোগে স্বাগত জানান তিনি। একপর্যায়ে দুপুর সোয়া একটায় বেরিয়ে তিনি নামাজ পড়তে যান।

জানা যায়, গত ৩০ অক্টোবর তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে চাকরি স্থায়ী করণসহ ১৪ দফা দাবি নিয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে ভিসি বরাবর। কিন্ত কর্মচারীদের স্মারকলিপির বিষয়টি আমলে না নিয়ে ২ নভেম্বর কেয়ারটেকার পদের নিয়োগ বোর্ড রাখায় কর্মচারী ক্ষিপ্ত হয়ে ভাইস-চ্যান্সেলরের কার্যালয় তালাবদ্ধ করে অবরুদ্ধ করে। এদিকে এবিষয়ে কর্মচারী ও শিক্ষকদের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা হলেও এর কোন সমাধানে আসতে পারেনি উভয় পক্ষ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভিসিকে মুক্ত করতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ভিসিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছাড়া তিনি বের হতে রাজি হননি।

আন্দোলনকারীরা বলেন, বারবার তাদের দাবির কথা জানিয়েও দাবি আদায় না হওয়ায় উপাচার্যের কার্যালয় তালা ঝুলিয়েছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ফরহাদ হোসেন বলেন, তাদের দাবি অযৌক্তিক, পোস্ট ছাড়াই তারা এডহকে নিয়োগ পেয়েছিল বিগত ভিসির সময়ে। ইউজিসি কর্তৃপক্ষকে বলে ২২টি পদের জন্য নিয়োগের ব্যবস্থা করে তাদের জানানো হলেও তারা তাদের অবস্থানে অনড় ছিলো। তবে এখন কার্যালয়ে তালা না থাকায় এবং তাদের কারো উপস্থিতি না থাকায় এখন বের হয়েছি।