মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যায় ৬ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড

দীর্ঘ ৬ বছর পর কুড়িগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যা মামলায় ৬ জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আঙুল মান্নান এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এস এম আব্রাহাম লিংকন এবং আসামি পক্ষে লিগ্যাল এইড নিয়োজিত অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবীর।
মামলার ৭ আসামির মধ্যে ৫ আসামি রাজীব গান্ধী, রিয়াজুল ইসলাম ওরফে মেহেদী, ফিরোজ হাসান ওরফে মোখলেছ, মাহাবুব হাসান মিলন ও আবু নাছির ওরফে রুবেলকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।
এ ছাড়া আসামি গোলাম রব্বানী পলাতক রয়েছেন এবং মামলা চলাকালীন আরেক আসামি সাদ্দাম হোসেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ২২ মার্চ সকাল ৭টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলা শহরের গড়ের পাড় এলাকায় প্রাতভ্রমণে বের হয়েছিলেন মুসলিম থেকে খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী।
ওতপেতে থাকা জঙ্গিরা এ সময় তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। পরে জঙ্গিরা ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের ছেলে রাহুল আমিন আজাদ বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা করেন।
একই বছরের ৫ নভেম্বর মামলাগুলোর অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করা হয়।
এরপর ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর আদালতে মামলাগুলোর অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার মোট ৩২ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এস এম আব্রাহাম লিংকন বলেন, এই হত্যা মামলা প্রমাণে হামরা মনে করি রাষ্ট্রপক্ষ, পুলিশ ও প্রসিকিউশন আমরা সমর্থ হয়েছি।
এই খুনি চক্র ধর্মের অপব্যাখ্যা করে বিভ্রান্ত হয়ে পরিকল্পিতভাবে তারা এই রকম একটি নৃশংস খুন করে রাষ্ট্র এবং সরকারকে বিপর্যস্ত করতে চেয়েছিল।