যারা উন্নয়ন দেখে না, তাদের চোখ পরীক্ষা করানো উচিৎ

যারা উন্নয়ন দেখে না, তাদের চোখ পরীক্ষা করানো উচিৎ

যারা উন্নয়ন দেখে না, তাদের চোখ পরীক্ষা করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস-২০২২’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আমরা চক্ষু ইন্সটিটিউট করে দিয়েছি। যারা সরকারের উন্নয়ন দেখে না তাদের উচিৎ সেখানে চক্ষু পরীক্ষা করানো।

অগণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতাগ্রহণকারীদের কাছে থেকে গণতন্ত্রের সবক শোনা জাতির জন্য দুর্ভাগ্য উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করে রাষ্ট্রপ্রধান হন। তার গঠন করা বিএনপি এখণ গণতন্ত্রের সবক দেয়। হাইকোর্ট জিয়া ও এরশাদের ক্ষমতা গ্রহণ অবৈধ ঘোষণা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দেশে একটি মানুষও ঘরবিহীন থাকবে না। প্রতিটি মানুষ ঘর পাবে। কেউ না খেয়ে থাকবে না। সবার জন্য খাবারের ব্যবস্থা আমরা করছি।

আমরা সব শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়ে দিয়েছি। বিএনপি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করে। অথচ তাদের আমলে অসংখ্য শ্রমিককে গুলি করে মেরেছে। যারা অবৈধ পথে ক্ষমতায় এসেছিলো তারাই আমাদেরকে গণতন্ত্রের সবক শোনায়।

বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান সংসদে বলেছিলেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ না হওয়াই ভালো। স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে বিদেশী সাহায্য বন্ধ হয়ে যাবে। খালেদা জিয়াও তার বক্তব্যকে সমর্থন করেছিলেন।

বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে রেল বন্ধ করে দেয় খালেদা জিয়া। তারা অনেক রেল লাইন বন্ধ করে দিয়েছিল। আমরা এসে রেল আবার নতুনভাবে শুরু করেছি। নতুন রেল মন্ত্রনালয় করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গে মঙ্গা হয়নি। যারা উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা তারা কি দেখেন না?

বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, মিথ্যা কথা বলায় তারা এক্সপার্ট, আমরা মিথ্যা বলায় তাদের সাথে পারবো না।

স্বাধীনতার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাষট্টি সালে বঙ্গবন্ধু একবার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তখন সফল হতে পারেননি। তখন আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা হয়। যখন থেকে মাতৃভাষার উপর আঘাত এসেছিল সেদিন থেকেই বুঝতে পেরে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব বেছে নেন, যাতে দলকে সুসংগঠিত করে স্বাধীনতার দিকে অগ্রসর করা যায়। তিনি ধাপে ধাপে প্রস্তুতি নেন স্বাধীনতার।

জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের হাত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোশতাক ও জিয়া মিলেই এই হত্যাকাণ্ড করেছিল।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নে রোল মডেল। যে বিশ্বব্যাংক চোরের অপবাদ দিয়ে পদ্মা সেতুর প্রকল্প থেকে সরে গেছে, সেই বিশ্বব্যাংক তাদের ভুল প্রকাশ্যে স্বীকার করছে। এসব সম্ভব হয়েছে আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য শেখ হাসিনা আছেন বলে। যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ।

এসময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।