যেদিন ঘোড়া ডিম পাড়বে সেদিন তারা আসবে

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘ফখরুল সাহেব বলেন, আওয়ামী লীগের কথা শুনলে ঘোড়া হাসে। ওরা বলে ১০ তারিখ খালেদা জিয়া আসবেন, ১১ তারিখ তারেক জিয়া আসবে। ঘোড়ার ডিম আসবে। যেদিন ঘোড়া ডিম পাড়বে সেদিন তারা আসবে।’
আজ শুক্রবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘সম্মেলনকে ঘিরে অনেক পত্রিকা লেখালেখি করছে শামীম ওসমান প্রার্থী। আমি জাতির পিতার কন্যার যে স্নেহ পেয়েছি সেটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। জাতির পিতার কন্যা আমাদের নিয়ে রাজনীতি করছেন। ছেলে মেয়েদেরও দূরে রাখেন। সারাদিন কাজ করার পর কারও সাথে যে কথা বলবেন সে সামর্থ্য নেই।’
‘আগামী ২৩ তারিখ আমাদের সম্মেলন। সুশৃঙ্খলভাবে সম্মেলন করতে হবে। ম্যাসেজ ক্লিয়ার, আমি কোনো প্রার্থী না। আমি শেখ হাসিনার সৈনিক। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান।’
তিনি বলেন, ‘আমি নেত্রীকে বলেছিলাম আমাদের ছেড়ে দেন। আমাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তখন তিনি বললেন, তার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। সেটা হলো মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো বাংলাদেশ। আমরা একটা জায়গায় চলে গিয়েছিলাম। এখন একটা ধাক্কা আসছে। জাতিসংঘ বলছে, সারা পৃথিবীতেই দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। সেখানে তিনি জাতিকে সচেতন করছেন। আর বিএনপি বাঁশে জাতীয় পতাকা বেঁধে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাইছে। তারা প্রকৃত রাজনীতিবিদ না। সেটা হলে আন্দোলনের নামে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারত না। যারা মানুষ মেরে রাজনীতি করতে চায় তাদের বিচার জনগণ করবে।’
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের বিএনপির ভাইদের একটা কথা বলতে চাই, ২০০১ থেকে করা সকল অত্যাচার ভুলে যেতে চাই। আপনাদের নফল নামাজ পড়া উচিত। জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী। নয়তো আপনাদের কী অবস্থা হতো আপনারা জানেন না। নারায়ণগঞ্জের বাচ্চা ছেলেরা যে ভাষায় বক্তব্য দিচ্ছে, এটা ভালো হচ্ছে না। আমাদেরও তরুণ কর্মী আছে। তাদের রক্ত গরম। কতক্ষণ আটকে রাখব। আপনারা কী ভাবেন, মানুষ এগুলোর জন্য আপনাদের বাহবা দেয়। তাদের বাপ মা খারাপ দেখেই এমন কথা বলছে। সমালোচনা করবেন করেন, এসমস্ত নোংরা কথা বলবেন না।’
‘নেত্রী জিজ্ঞেস করেছিলেন নারায়ণগঞ্জে এত লোক আসে কেন? আমি বলেছিলাম, আপনাকে মানুষ ভালোবাসে। আমরা আপনার কর্মী তাই এত লোক আসে। আল্লাহ যেন দেশের মানুষকে বাঁচাতে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনেন।’
তিনি বলেন, ‘হয়ত এ কমিটি (সম্মেলনে) থাকবে। তবে কথা হলো দলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বিষয় না। তবে এমন লোককেও আমরা কমিটিতে দেখেছি যাদের আমি চিনি না। এমন নেতাদের মূল্যায়ন করুন যাতে কমিটির সর্বশেষ লোকটা ডাক দিলেও যেন এলাকা থেকে এক হাজার লোক বেরিয়ে আসে। জনগণের শক্তিতে আওয়ামী লীগ চলবে।’
‘সবাই মিলে মিশে থাকুন। যোগাযোগ বৃদ্ধি করুন। শেখ হাসিনার কোনো কর্মীর যদি ক্ষতি হয় আমরা নারায়ণগঞ্জ আগে পথ দেখিয়েছি সামনেও পথ দেখাবো। মুজিবর ভাইয়ের মতো প্রবীন লোক কান্না করে আমাকে জিজ্ঞেস করেন, অমুকের (মেয়রের) গাড়িতে বিএনপির সন্ত্রাসীরা কেন? আমি জবাব দিতে পারি না। আমার কাছে উত্তর থাকে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন মাসে মাসে থানায় থানায় মীরজাফর জন্ম নেয়। হাইব্রিডদের ধাক্কায় ত্যাগীরা কোণঠাসা। যখন কেউ দেখে ত্যাগীরা মূল্যায়িত হয় তখন অন্য ত্যাগীরা খুশি হয়। অক্টোবর থেকে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত কোনো কোন্দল নয়, একতাবদ্ধ থাকেন। অন্তত মে পর্যন্ত। কারো ওপর আঘাত হলে যেন সবাই জেগে উঠি। নেত্রকোনায় কিছু হলে যেন নারায়ণগঞ্জ জেগে উঠে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ সময় আসছে।’