রংপুরে নিজ বাসভবন পল্লী নিবাসে সমাহিত এরশাদ

রংপুরে নিজ বাসভবন পল্লী নিবাসে সমাহিত  এরশাদ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে রংপুরে তার নিজ বাসভবন পল্লী নিবাসের লিচুতলায় দাফন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে তাকে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন করা হয়। বিকাল সাড়ে ৫টায় গান ক্যারেজে বহন করে তার মরদেহ কবরের পাশে নিয়ে যাওয়া হয়। সামরিক রীতি অনুযায়ী দাফনের আগে জীবন বৃত্তান্ত পাঠ করা হয়। দাফনের আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এর পর দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়। গত রোববার (১৪ জুলাই) ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় এইচ এম এরশাদের মৃত্যু হয়। ওইদিন বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রথম জানাজা হয়। সোমবার বিরোধী দলীয় নেতা এরশাদের দ্বিতীয় জানাজা হয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। এরপর বাদ আছর বায়তুল মোকররম জাতীয় মসজিদে তৃতীয় দফায় জানাজা হয়। এরশাদের মৃত্যুর দিনই জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, প্রয়াত এই নেতার দাফন হবে বনানীতে সামরিক কবরস্থানে। তবে রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জাতীয় পার্টির নেতা মোস্তাফিজার রহমানসহ স্থানীয় নেতারা রংপুরের এরশাদকে কবর দেয়ার দাবি করেন। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ঢাকা তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে এরশাদের কফিন নিয়ে রংপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। কফিনের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদের, এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি শাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। বেলা ১২টার পর ঈদগাহ ময়দানে এরশাদের মরদেহ নেওয়ার পর থেকেই সেখানে রাখা মাইকে এরশাদকে রংপুরে দাফনের দাবি ওঠে। জানাজার আগে বক্তৃতায় মেয়র মোস্তাফিজ এই দাবি আবারও তোলেন। এরপর জি এম কাদের বক্তব্য শুর করেন। কিন্তু তাঁর বক্তব্যের মাঝেই দাফনের বিষয়টি উল্লেখ করে শ্লোগান শুরু হয়। বেলা ২টা ২৫ মিনিটে এরশাদের জানাজা শুরু হয়। জানাজার পর শত শত কর্মী এরশাদের মরদেহ বহনকারী গাড়িটি ঘিরে ধরে। তারা রংপুরে কবর দেওয়ার দাবি করেন। রংপুরের মানুষের ভালবাসার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে রংপুরেই এরশাদকে দাফন করার অনুমতি দেন রওশন এরশাদ