রবীন্দ্র প্রয়াণ দিবসে উদীচী ও বরিশাল নাটকের শ্রদ্ধা

রবীন্দ্র প্রয়াণ দিবসে উদীচী ও বরিশাল নাটকের শ্রদ্ধা


বিশ^ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের প্রেরণা। রবীন্দ্রনাথ আমাদের বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সামনে যেতে শিখিয়েছে। বাঙালি সংস্কৃতি বিনির্মাণে আমাদের বেশি বেশি রবীন্দ্র চর্চা করতে হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৯তম প্রয়াণ দিবসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।

বৃহষ্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উদীচী ভবনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে রবীন্দ্রনাথের ৮৯তম প্রয়াণ দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদীচী এবং বরিশাল নাটক।

অনুষ্ঠানের শুররুতে ‘তোমারো অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূর আমি ধাই...’ রবীন্দ্রনাথের এই গানে শ্রদ্ধা নিবেদন করে উদীচীর শিল্পকর্মীরা। এরপর কথা, আবৃত্তি ও গানে গানে কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে উদীচী ও বরিশাল নাটক। সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে কথা বলেন, বরিশাল নাটকের সভাপতি কাজল ঘোষ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতিম-লীর সদস্য ও বরিশাল নাটকের সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন লাবু, উদীচী সভাপতি সাইফুর রহমান মিরণ, সাধারণ সম্পাদক ¯েœহাংশু বিশ^াস। আবৃত্তি করেন বরিশাল নাটকের আবৃত্তি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক আবৃত্তি শিল্পী অধ্যাপক সুজয় সেন। সঙ্গীত পরিবেশন করে আশাফুর রহমান সাগর, জুবায়ের হাসান শাহেদ, মিঠুন রায়, কমল ঘোষ, সাগর দাস মুনশী, রাখী শায়ন্তনীসহ অন্যরা।

রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বক্তারা বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তাই কেবল রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা কিংবা রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইলেই হবে না। রবীন্দ্রনাথের বহুমাত্রিক দিক সম্পর্কে জানতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে রবীন্দ্রনাথ আমাদের পথ দেখাবে। রবীন্দ্রনাথ আমাদের সকল প্রতিকূলতাকে জয় করে সামনে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জয় করা কিংবা সামনে পথে যতো বধা আসুক সেই বাধাকে অতিক্রম করতে হবে। উদীচী এবং বরিশাল নাটক রবীন্দ্রনাথের আহ্বানের সঙ্গে থেকে সংস্কৃতি চর্চা করে চলেছে। উদীচী এবং বরিশাল নাকট বাঙালি সংস্কৃতি এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জনের সঙ্গে থেকে কাজ করে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধ এবং বাঙালি সংস্কৃতি চর্চায় কেউ সহযোগী না হলেও উদীচী রবীন্দ্রনাথের সেই গান ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চল রে’ এই নীতিতে অটল থাকবে।

কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৯ তম প্রয়াণ দিবসের আয়োজন শেষ হয় আমাদের লাল সবুজের পতাকার মর্যাদা ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ জাতীয় সংগীত দিয়ে।