মঙ্গলবার ছিল বাইশে শ্রাবণ। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৯তম প্রয়াণ দিবস। নানা আয়োজনে জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ কবির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা। অশ্বিনী কুমার হল পূর্ণ দর্শক-শ্রোতা এবং অতিথিদের পদচারণায়। একটু পরে শুরু হয় আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে এই গানের সঙ্গে নৃত্য। সঙ্গে সঙ্গে প্রদীপের আলোতে আলোকিত হয় হল। প্রদীপ জে¦লে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবত সাদিক আবদুল্লাহ।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান, জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতি কাজল ঘোষ, বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাবেক সভাপতি অ্যাড. এসএম ইকবাল, অ্যাড. নজরুল ইসলাম চুন্নু, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা পংকজ রায় চৌধুরী, কবি আসমা চৌধুরী, রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পদক উত্তম বড়াল প্রমূখ।
পরে বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথের কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাজল ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, রবীন্দ্রনাথ আমাদের পথ চলার পাথেয়। রবীন্দ্রনাথ সামনে চলার দিক নির্দেশক। রবীন্দ্রনাথ হচ্ছেন একজন পরিপূর্ণ জীবনাদর্শ। আমাদের যেমন রবীন্দ্রনাথ আছে, তেমনি আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আছে। দুজনই বাঙালি ও বাংলাদেশের কা-ারী। বাঙালি জাতি হিসেবে তাই আমরা গর্বিত শোকের মাস আগস্টে রবীন্দ্রনাথ মৃত্যুবরণ করেন। আর এই আগস্টেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। যে জাতির সামনে রবীন্দ্রনাথ, বঙ্গবন্ধু এবং নজরুল থাকে সে জাতি পিছিয়ে পড়তে পারে না। আমাদের বেশি বেশি রবীন্দ্রনাথ চর্চা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে চর্চা করতে হবে। তাহলে আমরা সকল ভয়কে জয় করতে পারবো।
আলোচনা শেষে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রায়াণ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। প্রধান অতিথি সেরনিয়াবত সাদিক আবদুল্লাহ, বিশেষ অতিথি এসএম অজিয়র রহমান বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার ও সনদ তুলে দেন।
সব শেষে রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন পর্যায়ের গান পরিবেশন করেন জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের শিল্পীরা। মাঝে মাঝে চলে নৃত্য। মুরাদ জামান খানের পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করে নৃত্যাঙ্গন নৃত্যকলা একাডেমির শিল্পীরা।