রমজানের প্রথমেই ইলিশে চড়া দাম

অসময়ে রুপালি ইলিশ বেচাকেনায় সরগরম দক্ষিণঞ্চলের সর্ববৃহত ইলিশ বাজার। তবে ইলিশ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বর্তমানে গত সপ্তাহের তুলনায় পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায়, খুচরা বাজারে দাম আরও বেশি চড়া। তাই ক্রেতার মধ্যে অনেকেই ইলিশ কিনতে নারাজ। অন্য দিকে ইলিশ ব্যবসায়ীদের দাবি মোকামে ইলিশ কম ও রমজানের কারণে বর্তমান বাজারে দাম একটু বেশি।
সোমবার (৪ এপ্রিল) সকালে বরিশাল নগরীর পোর্ট রোডের জেলা মৎস্য পাইকারি বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, ছোট-বড় বিভিন্ন মাপেরে প্রচুর ইলিশ আসছে এই মোকামে। ব্যবসায়ী ও খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে দাম দর।
এসময় মো. আবু ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন, ‘গত সপ্তাহের তুলনায় দাম অনেক বেড়েছে। সেই তুলনায় আজ দেড় কেজি ওজনের প্রতিমণ ইলিশের দাম ৬০ হাজার টাকা যা গত সপ্তাহে ছিলো ৫০/৫৬ হাজার টাকা, ১ কেজি ২০০ গ্রাম ৫৫ হাজার টাকা যা গত সপ্তাহে ছিলো ৪৮ হাজার টাকা, ১ কেজি ওজনের মাছ ৫০ হাজার টাকা যা গত সপ্তাহের ছিলো ৪০/৪২ হাজার টাকা, ৪’শ গ্রাম ওজনের মাছ ২৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।’
তবে শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসকে ইলিশের ভরা মৌসুম বলা হয়। কিন্তু বর্তমানে এই মৌসুম না থাকলেও ধরা পড়ছে বড় সাইজের প্রচুর ইলিশ। এই অসময়ে বাজারে ইলিশের সরবরাহে খুশি খুচরা বিক্রেতারা। তবে দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের রয়েছে অভিযোগ।
খুচরা বিক্রেতা মো. আকবর ঢাকাপ্রকাশ’কে বলেন,‘রোজার কারণে ইলিশের দাম বাড়ছে। তয় দাম বাড়লেও মোগো বেচা-কেনা কম। এই সময় ইলিশে একটু স্বাদ কম পাওয়া যায়। হের জন্য মানুষ ইলিশ খাইতে চায় না।’
তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে আমাগো বাজারে শ্রীপুর, কালাবাদর, মেহেন্দিগঞ্জ, পাতারহাটের ইলিশ মাছ বেশি বাজারে ওঠে।’
ক্রেতা মো. মাসুম খান অভিযোগ করে বলেন,‘আমদের দেশে রমজান মাস আসলেই বাজারের সব কিছুর দাম বেড়ে যায়। বাজারে প্রচুর ইলিশ থাকতেও হাতের নাগালের বাইরে দাম। এই সিন্ডিকেট বন্ধ করা প্রয়োজন, তা না হলে আগামীতে মানুষকে না খেয়ে থাকতে হবে।’
এ বিষয়ে মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল দাস বলেন,‘যে সকল নদীতে নিষেধাজ্ঞা নেই, সেই অঞ্চলের ইলিশগুলো বাজারে আসছে। তবে রমজান মাসের জন্য বাজারে আমাদরে বিশেষ নজরদারী রয়েছে।
এদিকে জাটকা সংরক্ষণ ও উৎপাদন বাড়ানোর জন্য দেশের ৬টি অভয়াশ্রমে চলছে মাছ ধরার ওপর দুই মাসের (মার্চ-এপ্রিল) নিষেধাজ্ঞা চলছে। তার পরেও বাজারে ইলিশের এমন সমারোহ দেখা গেছে।