রাঙামাটির পাহাড়ে পিঠা উৎসব

রাঙামাটির পাহাড়ে পিঠা উৎসব

পাহাড়ে শুরু হয়েছে পিঠা উৎসব। জুমের ধানের হরেক রকম পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছে পাহাড়ি নারীরা। বাহারি ডিজাইনের নকশায় তৈরি পিঠা দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও সুস্বাদু। তাই এ পিঠা উৎসবে মানুষের ভিড় বেড়ছে কয়েকগুন। 

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা সাধারণত বিনি চাল দিয়ে তৈরি করে নানা নামের পিঠা। যার মধ্যে-কলা পিঠা, সাইন্ন্যা পিঠা, বোরা পিঠা, পাটিসাপটা, ভাপা পিঠা ও চিতই পিঠা। এসব পিটার নাম যেমন সাধারণ মানুষের কাছে যেমন খুবই পরিচিত। ঠিক তেমনি চাহিদাও অনেক বেশি। জুমের পাকা ধান তোলার পর সাধারণত এ পিঠা উৎসব করে থাকে পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষরা। তবে এবার আয়োজন করেছে ‘দ্য সাবাঙ্গী’ এর পৃষ্ঠপোষকতায় বক্স অব অর্নামেন্ট ও অনুভব নামে একটি সংগঠন। শুধুামাত্র নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে এ পিঠা উৎসব।

শনিবার সকালে শহরের দেবাশীষ নগর এলাকায় এ পিঠা উৎসব উদ্বোধন করেন রাঙামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার। এসময় তিনি বলেন, দেশে করোনা পরিস্থিতি বিরাজমান। সংক্রমণ এড়াতে সব উৎসব বন্ধ করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি কিছু অনুকুলে আছে পার্বত্যাঞ্চলে। তবু মেলা যেহেতু মানুষের ভিড় হবেই। তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ উৎসব পরিচালনা করতে হবে। 

এরপর চলে দিনব্যাপী মেলার আনুষ্ঠানিকতা। শুধু পিটা নয়, ক্ষদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও গোহনার স্টলও বসানো হয় এ মেলায়। সন্ধ্যা নামতেই ভির জমে দর্শণার্থীদের। করোনা কালের দীর্ঘদিন পর এমন উৎসব দেখে মেলায় ছুঠে যায় নারী-পুরুষসহ সব বয়সের মানুষ। পাহাড়ি-বাঙালীদের সরব উপস্থিতে মেলা চত্বর পরিণত হয় মিলন মেলায়। পিঠা উৎসবে গ্রাম-বাংলার আবহমান সংস্কৃতি সংরক্ষণে প্রায় ২৫-৩০ রকমের পিঠা উপস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রাত পর্যন্ত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিল্পীদের চলে নাচ, গান ও কবিতা আবৃত্তি।