রাজধানীর এরাম হোটেলকে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা

রাজধানীর এরাম হোটেলের বিরুদ্ধে ভ্যাট গোয়েন্দার দায়ের করা ভ্যাট ফাঁকির মামলায় প্রমাণ হওয়ায় ১৮ লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়েছে। আজ ভ্যাট ফাঁকির মামলার বিচার আদেশে এই জরিমানা করা হয়।
গোপন সূত্রে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর এ হোটেলটিতে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করে। এতে ভ্যাট গোয়েন্দা ভ্যাট ফাঁকির আলামত পাওয়ায় হোটেলের কাগজপত্র জব্দ করে।একইসাথে, ৩৭৪ বোতল বিদেশী হুইস্কি ও ৩৬৭২ ক্যান বিয়ারের কোন বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় এসব মদজাতীয় পণ্যও জব্দ করা হয়।
অভিযানকালে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি করোনাকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হোটেল বার থেকে মদজাতীয় পণ্য বিক্রয় করে। কিন্তু স্থানীয় ভ্যাট সার্কেলে মাসিক ভ্যাট রিটার্নে শূন্য বিক্রয়ের হিসাব দাখিল করে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছিল।
প্রতিষ্ঠানটি ১ নং শুক্রাবাদ, মিরপুর রোডে অবস্থিত। এর মূসক নিবন্ধন নং: ০০০১৬৬৬৭৬৫-০৪০২। এই হোটেলে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে মদ বিক্রির অনুমোদন আছে।
পরবর্তীতে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর তদন্ত করে ৮.৮৭ লক্ষ টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করে মামলা দায়ের করে ন্যায় নির্ণয়নকারী কর্মকর্তা ঢাকা পশ্চিম কমিশনারের নিকট প্রেরণ করে।
ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনার সৈয়দ মুসফিকুর রহমান মামলার কাগজপত্র বিশ্লেষণ ও বিবাদীর বক্তব্য আমলে নিয়ে ভ্যাট গোয়েন্দার উদঘাটিত ৮.৮৭ টাকার ভ্যাট রাজস্ব আদায়ের আদেশ দেন ও একইসাথে ১৭.৭৩ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত হিসেবে জরিমানা আরোপ করেন। একই আদেশে বৈধ কাগজ না থাকায় জব্দকৃত মদ ও বিয়ার রাষ্ট্রের অনুকুলে বাজেয়াপ্ত করেন।
ইতিমধ্যে এরাম হোটেল কর্তৃপক্ষ ভ্যাট ফাকির অভিযোগ মেনে নিয়ে ৮.৮৭ লক্ষ টাকার ভ্যাট পরিশোধ করেছেন।বাকি জরিমানার টাকা ১৫ দিনের মধ্যে জমা দিবেন মর্মে অঙ্গীকার করেন।