রাজধানীর সদরঘাটে উপচে পড়া ভিড়

রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা।
শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ঢল দেখা যায়। রাজধানীর অধিকাংশ সড়ক ফাঁকা থাকলেও সদরঘাট কেন্দ্রিক সব রাস্তায় ব্যাপক যানজট দেখা করা গিয়েছে।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, সবগুলো রুটের লঞ্চে মানুষের ভিড়ের একই চিত্র দেখা গেছে। দুর্ভোগ ও বাড়তি ভাড়া নিয়ে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন। যাত্রীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে নৌ-পুলিশসহ বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা।
লঞ্চ মালিকেরা বলছেন, সরকারি-বেসরকারি অফিস ছুটির পরপরই ঈদ উপলক্ষে বাড়ি যেতে চাওয়া মানুষ সদরঘাটের দিকে ছুটতে শুরু করে। ঈদের ছুটির প্রথম দিন হওয়াতে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। এবারে একটু বেশি যাত্রী পেয়ে করোনার কারণে গত দুই ঈদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অনুসরণ করে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যসহ যাবতীয় সকল নিয়মকানুন মেনে যাত্রীদের টিকিট দিচ্ছি।
যাত্রী সচেতনতায় নৌ পুলিশের পক্ষ থেকে লঞ্চ টার্মিনালে লিফলেট বিতরণ করতে দেখা গেছে।
এম ভি তাসফিয়া লঞ্চের এক যাত্রী শরিফ জানান, ঈদকে সামনে রেখে লঞ্চের ভাড়া বেশি নিচ্ছে। আমরা ৪০০ টাকা করে ভাড়া দিয়ে ভোলা গেলেও এখন ৫০০-৫৫০ টাকা নেয়া হচ্ছে, আর কেবিন তো সোনার হরিণ!
তবে এম ভি তাসফিয়ার এক কর্মচারী জানান, সরকার নির্ধারিত ভাড়া নেয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত নেয়া হচ্ছে না। কেবিন সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে অগ্রিম কেবিন বুকিং করে রাখেন অনেকেই। তাই যারা অগ্রিম বুকিং করে আসেননি তাদের আমরা কেবিন দিতে পারছি না।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসেও অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে গতকাল ১১০টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।