রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে লুটেরা গোষ্ঠী ব্যাংক লুট করছে

গত এক দশক ধরে নীতিবিহীন অর্থনীতির মধ্য দিয়ে চলছে দেশ। বিভিন্ন সময়ে অর্থনীতির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো সমাধান হয়নি। এ মুহূর্তে অর্থনীতির সবচেয়ে বড় সংকটের নাম ব্যাংক লুট। ব্যাংক ব্যবস্থা বিনষ্ট হয়ে গেছে। প্রভাবশালীরা এখন ব্যাংক গিলে খাচ্ছে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে লুটেরা গোষ্ঠী ব্যাংক লুট করছে। এর ফলে মানুষ ব্যাংকের প্রতি আস্থা হারিয়েছে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংক লুট, খেলাপি ঋণের টাকা ও অবৈধ আয় পাচার করা হয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতিক, আমলা ও ব্যবসায়ীরা জড়িত।
শনিবার অর্থনীতির সংকট নিয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি আয়োজিত এক সংলাপে এ প্রতিক্রিয়া জানান বিশিষ্টজনেরা। ব্যাংক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সব দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে 'অলপার্টি কমিটি' কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছেন তারা। এর মাধ্যমে তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তি দিয়ে ব্যাংক ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার কথা বলেন তারা। এ পথে না গেলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে লুটেরা গোষ্ঠী নতুন করে ব্যাংক করবে। আবার ক'দিন পরে লুট করবে।
রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে 'সংকটে অর্থনীতি : কর্মপরিকল্পনা কি হতে পারে' শিরোনামে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সিপিডির ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বাধীন পর্যালোচনার (আইআরআরবিডি) আওতায় এই সংলাপের আয়োজন করা হয়। সিপিডির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. রেহমান সোবহান সংলাপে সভাপতিত্ব এবং সঞ্চালনা করেন।
সংলাপে সিপিডির পক্ষ থেকে বর্তমান অর্থনীতির গুরুত্বপুর্ণ সূচকগুলোর বাস্তবতা তুলে ধরা হয়। এতে প্রায় সব সূচকের অবনতির কথা বলা হয়। কিছু সুপারিশও করা হয় সিপিডির পক্ষ থেকে।
সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি গত চার মাস ধরে কমছে। মজুরি বাড়ছে। করোনা থেকেও সফলভাবে উত্তরণ হওয়া দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম উঠে এসেছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে। তবে সরকার আত্মতুষ্টিতে ভুগছে না। মানসম্পন্ন শিক্ষাসহ আরও কিছু বিষয়ে ঘাটতি রয়েছে। এসব বিষয়ে কাজ করছেন তারা।