র‌্যাবের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুযোগ নেই: ডিজি

র‌্যাবের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুযোগ নেই: ডিজি

 

র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল¬াহ আল মামুন বলেছেন, র‌্যাব আইন অনুযায়ী কাজ করে। র‌্যাব কখনোই মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজ করেনি। র‌্যাবের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো সুযোগ নেই। 

রোববার দুপুরে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকায় অনুষ্ঠিত মতবিনমিয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমান আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‌্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল¬াহ আল মামুনসহ ৬ কর্মকর্তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’ শ্লোগানে উজ্জীবিত র‌্যাব-৮ এর আয়োজনে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ‘উপকূলীয় জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা’ শীর্ষক ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

র‌্যাব প্রধান বলেন, র‌্যাব সবসময় আইন এবং বিধিবদ্ধভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। কোনো অপরাধী অপরাধ করলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তাকে আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি অনেককে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।  আর যে মানবাধিকারের কথা বলা হচ্ছে তা কিভাবে সংঘটিত হয়েছে তা আমার জানা নেই।  তবে এতটুকুই বলবো কে, কি কারণে এবং কোন উদ্দেশ্যে  নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এ বিষয়ে সংশি¬ষ্টদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তীতে জানানো হবে।

‘দস্যুতা করলে করবে ভুল, জড়িতরা হবে নির্মুল’ শ্লোগান দিয়ে কর্নেল কেএম আজাদ বলেন, এ মতবিনিময় সভায় আমরা যারা উপস্থিত হয়েছি, তারা সবাই মিলে একটি বিশাল শক্তি। যদি আমরা সবাই একত্রিত হয়ে দৃঢ় হয়ে কাজ করি তবেই আমরা এ যুদ্ধে সফল হবো। দস্যু বা দস্যুতা খুব ক্ষুদ্র আমাদের সবার শক্তির কাছে দস্যুতা অতি নগণ্য। এটা বোঝাতে হবে কাজের মাধ্যমে। যারা দস্যুতার সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের নির্মুল করা হচ্ছে আমদের কাজ। আমি মনে করি, আমরা এক থাকলে দস্যুতা কোনোভাবেই মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।

কর্নেল কেএম আজাদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল¬াহ আল-মামুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান। এছাড়া স্থানীয় মৎস্যজীবীদের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

চৌধুরী আবদুল¬াহ আল মামুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল বিশেষ করে সুন্দরবন জলদস্যু ও বনদস্যু মুক্ত করা হয়েছে।  এই সময় তিনশ’র বেশি জলদস্যু যারা জলে দীর্ঘদিন অপরাধ করে আসছে তারা সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছে।  তারা যেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে সেজন্য বাসাবাড়ি, দোকানপাট, গরু নৌকা,  জাল ও নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে।  মনে রাখতে হবে, এরপরও যারা স্বাভাবিক জীবনে আসতে পারেননি বা আসার আগ্রহ নেই, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মতবিনিময় সভায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে ৮ জেলে পরিবারের মধ্যে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা সহায়তা করা হয়। তাদের মধ্যে নিহত জেলে মুসা মিয়ার স্ত্রী মোসাম্মৎ তাজিনুর বেগমকে ১ লাখ ও বাবুল ফকির, কামাল, জামাল, হেলাল উদ্দিন, সেলিম সরদার, সাইফুল ইসলাম, লোকমান খান প্রত্যেককে ১০ হাজার অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।