শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রি, আটক এক

শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রি, আটক এক
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে শুক্রবার (২৪ মে) বেলা ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্র থেকে সোলায়মান নামে এক প্রার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। তার মোবাইলে থাকা প্রশ্ন ও পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের কয়েকটিতে হুবহু মিল পাওয়া গেছে। এ প্রেক্ষিতে তাকে আটক করে পুলিশ। ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন আটককৃত সোলায়মান। লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল দৈনিক শিক্ষাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জেলা প্রশাসন সূত্র দৈনিক শিক্ষাকে জানায়, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছিল সোলায়মান। গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে সোলায়মানকে তল্লাশী করে জেলা প্রশাসন। তল্লাশীর সময় তার কছে একটি ব্যবহৃত মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। মোবাইলে উত্তরসহ ‘কয়েকটি’ প্রশ্নের পাওয়া যায় যেগুলোর সাথে পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের মিল ছিল। পরে তাকে পুলিশে দেয়া হয়। পুলিশ জানান, আটককৃত সোলায়মান প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা স্বীকার করেছেন। আটককৃত সোলায়মানের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র সোলায়মানের মোবাইলে পাঠিয়েছে জায়েদ নামে এক সহযোগী। সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জের আবদুল করিমের ছেলে। খবর পেয়ে গোয়েন্দা সংস্থা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যায়। এ সময় উদ্ধার হওয়া প্রশ্নের সাথে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সাথে হুবহু মিল পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেন লক্ষ্মীপুর জেলা এনএসআইয়ের কর্মকর্তারা। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাত থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠে। অভিযোগকারীরা জানান, লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কাছে কয়েকজন যুবক সিন্ডিকেট করে ৪ লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকায় প্রাথমিকে শিক্ষা নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রি করেছিলেন। অভিযোগকারীরা আরও জানান, প্রশ্ন ক্রেতাদের মধ্যে কেউ কেউ সকাল থেকেই কেন্দ্রের সামনে উত্তরসহ প্রশ্ন বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন। লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল জানান, সোলায়মান নামে এক পরীক্ষার্থীকে ফোনসহ চেক করা হলে মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের আলামত পাওয়া যায়। পরে তাকে আটক করা হয়। পরীক্ষায় আসা প্রশ্নের সাথে কয়েকটি প্রশ্নের মিল ছিল। তবে, হাতে লেখা প্রশ্নগুলোর কোনো সিরিয়াল বা ক্রমের মিল পাওয়া যায়নি।