শিমুলিয়া ঘাটে মানুষের ঢল

শিমুলিয়া ঘাটে মানুষের ঢল

করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত লকডাউনের ঘোষণায় দক্ষিণবঙ্গগামী মানুষের ঢল নেমেছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে।

রোববার ভোর থেকে ঘাট এলাকায় হাজার হাজার যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়। এত যাত্রীর চাপে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারমুখী ফেরিগুলোতে পণ্যবাহী ও জরুরি যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। পারাপারের অপেক্ষায় শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় আটকা পড়েছে কয়েকশত গাড়ি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ বলেন, নৌরুটে বর্তমানে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে। সকাল থেকে যাত্রীদের কিছুটা ভিড় রয়েছে। লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারের কথা থাকলেও যাত্রীরা ঘাটে আসছে। যাত্রী নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব আমাদের নয়। ঘাট এলাকায় সাড়ে চারশতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়েছে।

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, লকডাউনের কথা শুনে ঘাটে মানুষের খুব চাপ বেড়েছে। একইসঙ্গে গাড়ির চাপেও আছে। যাত্রীদের ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় সোমবার লকডাউন শুরু হলেও বুধবার পর্যন্ত তা কিছুটা শিথিল থাকবে। খোলা থাকবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তবে বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, অর্থবছরের শেষ সময় হওয়ায় লকডাউনের সিদ্ধান্তে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। সোমবার থেকে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যাবে। মার্কেট, হোটেল–রেস্তোরাঁসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে লকডাউন শুরু হবে। এই সময়ে কিছু কার্যক্রম চালু থাকবে। আর ১ জুলাই থেকে সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হবে।