শিরিনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপনকে কেন্দ্র করে নতুন বিতর্কের জন্ম হয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্ধকোটি টাকা ফেরত নিয়ে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বরিশাল প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন বিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অধ্যাপক শাহ সাজেদা। লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, শতবর্ষ উদযাপনের জন্য সংগৃহীত টাকার ওপর দখল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন বিলকিস জাহান শিরিন ও তার অনুসারীরা।
অধ্যাপক শাহ সাজেদা জানান, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ৫০ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দুই হাজার ৬৩৮ জন প্রাক্তন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু এর পরপরই আরেকটি পাল্টা কমিটি গঠন করেন আওয়ামী লীগের তৎকালীন সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা।
সুলতানা নাদিরার কমিটির কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পর বিলকিস জাহান শিরিন তার অনুসারীদের নিয়ে আরেকটি কমিটি করেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা জোরপূর্বক একটি চুক্তি করতে বাধ্য করেন এবং শতবর্ষ উদযাপনের জন্য সংগৃহীত অর্থ দখলের চেষ্টা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, অধ্যাপক সাজেদা আওয়ামী লীগের দোসর এবং সংগৃহীত অর্থের সঠিক হিসাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি আরও দাবি করেন, এ কমিটির সঙ্গে তিনি কোনো সম্পৃক্ততা রাখেননি এবং চাঁদা ফেরতের বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন।
এর আগে, ১০ কোটি টাকা মূল্যের একটি পুকুর দখল করার অভিযোগে ২০২৩ সালের ১১ আগস্ট বিলকিস জাহান শিরিনের বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ স্থগিত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক সাজেদা অভিযোগ করেন, শিরিন ও তার অনুসারীরা ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিচ্ছেন। তিনি প্রশাসন ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, "আমি শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দিয়ে দায়মুক্ত হতে চাই।"
জেলা প্রশাসনের পরামর্শে অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। তবে টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে এখনও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে মতানৈক্য রয়ে গেছে।
এই ঘটনায় বরিশালের শিক্ষা ও সামাজিক অঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করছে।