শিশুর লাশের সঙ্গে আরও লাশ হয়ে ফিরলেন ৬ জন

বরিশালে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে কভার্ডভ্যান-বাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ৬জন নিহত হয়েছে। ঢাকায় চিকিৎসাধীন শিশুর মৃতদেহ নিয়ে ফেরার পথে এক পরিবারের ৪জনসহ ওই ৬জন নিহত হয়। এঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১০জন।
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুরে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সের সাথে কভার্ডভ্যান ও বাসের ত্রিমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৪জন সহ এ্যাম্বুলেন্সের ৬ যাত্রী নিহত হয়েছে। দুর্ঘটনায় বাসের ১০জন যাত্রী হয়। ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার মহাসড়কে প্রায় ১ ঘন্টা যান চলাচল ব্যহত হয়।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার আটিপাড়া এলাকায় ত্রিমুখী ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৪জন একই পরিবারের সদস্য। নিহত ৬জন হলো ঝালকাঠী জেলার বাউকাঠী গ্রামের আরিফ হোসেন রাড়ি, তার ভাই তারেক হোসেন রাড়ি, বোন শিউলী বেগম, মা কহিনুর বেগম এবং অ্যাম্বুলেন্স চালক কুমিল্লার মো. আলমগীর। নিহত অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হওয়া ৩ দিন বয়সের শিশু তামান্নার লাশ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে ঝালকাঠী বাড়ি ফিরছিলেন স্বজনরা।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল আহসান জানান, ঢাকা থেকে এক শিশুর লাশ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা একটি অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঝালকাঠীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার আটিপাড়া রাস্তারমুখ অতিক্রমকালে বিপরীতমুখি দ্রুত গতির একটি কভার্ডভ্যানের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে থাকা মায়া পরিবহন নামে একটি বাস পেছন থেকে অ্যাম্বুলেন্সটিকে চাপা দেয়। এতে এ্যাম্বুলেন্সটি দুমরেমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্সে থকা চালকশহ ৬ যাত্রী মারা যায়। এদের মধ্যে ৪জন পুরুষ এবং ২জন নারী। আহত হয় বাসের ১০জন যাত্রী। দুর্ঘটনায় মহাসড়কে যান চলাচল ব্যহত হয়।
ওসি আরও জানান, অ্যাম্বুলেন্সের ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া কাগজপত্র থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, একটি শিশুর লাশ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি ঝালকাঠী যাচ্ছিলো। ৩ দিন বয়সের শিশুটি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে উজিরপুর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস এবং গৌরনদী হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। ফায়ার সার্ভিস অ্যাম্বুলেন্স কেটে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করে।