শীতলক্ষ্যায় লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ৬ মরদেহ উদ্ধার

শীতলক্ষ্যায় লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ৬ মরদেহ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন। এর মধ্যে দুজন পুরুষ, দুজন নারী এবং দুজন শিশুর মরদেহ উদ্দার করা হয়েছে।

নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে জয়নাল ভূঁইয়া নামে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি মানিকগঞ্জের ইসলামপুরের বাসিন্দা।

এর আগে রবিবার বেলা দুইটার দিকে রূপসী-৯ নামের পণ্যবাহী কার্গোর ধাক্কায় অন্তত ৩০ যাত্রীসহ এমএল আশরাফউদ্দিন নামের একটি লঞ্চ ডুবে যায়। নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জে যাওয়ার পথে শীতলক্ষ্যা নদীর মাহমুদনগর কলাবাগান এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নারায়ণগঞ্জ নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুর্ঘটনার পর সাঁতরে তীরে ওঠা দুএকজন যাত্রী জানান, রূপসী-৯ নামের কার্গোটি তাদের লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার পর অন্তত ৫০ মিটার দূরে গিয়ে লঞ্চটি ডুবে যায়। এ সময় লঞ্চে অন্তত ৪০ যাত্রী ছিল বলে ধারণা করছেন তারা।

নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বদিউজ্জামান বলেন, বেলা দুইটার দিকে টার্মিনাল থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়। পথে লঞ্চটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন রূপসী-৯ কার্গো। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়।

নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, মুন্সিগঞ্জগামী যাত্রীবাহী লঞ্চকে সিটি গ্রুপের রূপসী-৯ কার্গো ধাক্কা দিলে লঞ্চটি ডুবে যায়। ঘটনাস্থলে নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ উদ্ধারকাজ শুরু করেছে।

নিখোঁজ যাত্রীদের খোঁজে ডুবুরি দল উদ্ধারকাজ শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।