শুস্ক মৌসুম সামনে রেখে ৩০ পয়েন্টে ড্রেজিং করবে বিআইডব্লিউটিএ

শুস্ক মৌসুম সামনে রেখে ৩০ পয়েন্টে ড্রেজিং করবে বিআইডব্লিউটিএ

বরিশাল-ঢাকা নৌপথসহ বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নৌ রুটের নাব্য সংকট নিরসনে অন্তত ৩০টি পয়েন্টে ড্রেজিং করবে বিআইডব্লিউটিএ। শুস্ক মৌসুম সামনে রেখে নাব্যতা সংকটের আশঙ্কায় নিরাপদ নৌ চলাচলের লক্ষ্যে বিভিন্ন নদীর ৩০ পয়েন্টে অন্তত ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ১৪ লাখ ঘনমিটার পলি ড্রেজিং করবে তারা। এ জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৪ কোটি টাকা।


বুধবার দুপুর ১টায় বরিশাল নদী বন্দরের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান। 

মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, আগামী মঙ্গলবার বরিশাল নদী বন্দর এলাকা ড্রেজিং শুরুর মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সবগুলো পয়েন্টে ড্রেজিং শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের। 

মতবিনিময় সভায় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে ২.৪ বিলিয়ন মেট্রিক টন পলি ভাটিতে আসে। এছাড়া  নদী ভাঙনের ফলেও বিপুল পরিমাণ পলির সৃষ্টি হয়। যার ৭০ ভাগ বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়ে এবং ৩০ ভাগ বিভিন্ন নদীতে জমে ডুবোচরের চরের সৃষ্টি হয়। এতে নৌ চলাচল ব্যহত হয়। এ কারণে শুষ্ক মৌসুমকে সামনে নৌ চলাচল নিরাপদ করতে বিভাগের বিভিন্ন নদীতে ড্রেজিং শুরু করতে যাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ।

 তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরও জানান, বর্ষায় পলি জমে বরিশাল নদী বন্দর, পটুয়াখালী নদী বন্দর, ভোলা নদী বন্দর, বরগুনা নদী বন্দর, লাহারহাট-ভেদুরিয়া নৌপথ, পাতারহাট পয়েন্ট, কারখানা নদীর লোহালিয়া পয়েন্ট, মজুচৌধুরী ফেরীঘাট সংলগ্ন মতিহাট পয়েন্টসহ দক্ষিন জোন বিআইডব্লিউটিএ’র আওতাধীন এলাকায় অন্তত ৩০টি পয়েন্টে বর্ষায় পলি জমে ডুবোচর সৃষ্টি হয়েছে। সার্ভে করে এসব পয়েন্টের ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ১৪ লাখ ঘন মিটার পলি অপসারনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রতি ঘন মিটার ১০০ টাকা হারে খরচ ধরে এই ড্রেজিং বাবদ ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এ কাজে বিআইডব্লিউটিএ’র ৮ থেকে ১০টি ড্রেজার নদী ড্রেজিং করবে। প্রয়োজনে বেসরকারী ড্রেজারও কাজে লাগানো হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এই ডেজিং শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে বিআইডব্লিউটিএ’র। 
এ সময় বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।