শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমে শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেয়া হবে না বরিশালে গয়েশ্বর

বরিশালে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, শেখ হাসিনার পতনের মাধ্যমে ভোলায় স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আ. রহিম ও জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেয়া হবে না।
সমাবেশে পুলিশকে উদ্দেশ্যে করে বলেছেন আপনারা জনগনের টাকায় বেতন নেন। জনগন আপনাদের টাকায় চলে না। জনগনের বুকে গুলি চালাবার চেষ্টা করবেন না। গুলি করে শেখ হাসিনাকে আর ক্ষমতায় আর রাখতে পারবেন না।
ভোলায় স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আ. রহিম ও জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম হত্যা এবং শতাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ৪ আগস্ট বিকেলে বরিশাল নগরীর সদর রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বরিশাল মহানগর এবং দক্ষিন ও উত্তর জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে গয়েশ^র রায় আরও বলেন, শেখ হাসিনা এই দুটি হত্যাকান্ডের মধ্যে দিয়ে নিজের পায়ে কুড়াল মেরেছে। আন্দোলন-সংগ্রামে কোন শহীদের রক্ত বৃথা যায়নি। শেখ হাসিনার অধিনে এই দেশে আর কোন নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে না। ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে দেশে একটি নিরপক্ষ নির্বাচন করা হবে।
মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শেখ হাসিনা আগস্ট মাস এলে কান্নাকাটি করে আর সেই আগস্ট মাসে পুলিশ দিয়ে অন্যের বুক খালী করে। তার সন্তানরা আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) এখন কি বলবে।
এছাড়া দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান ও মাহবুবুল হক নান্নু বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।
এর আগে দুপুরের পর থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল সদর রোডের দলীয় কার্যালয় চত্ত্বরে জড়ো হয়। বিকেল ৩টার পর সমাবেশস্থল লোকেলোকারন্য হয়ে গেলে সোহেল চত্বর থেকে লাইনরোড পর্যন্ত সদর রোডে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েন হাজার হাজার পথচারী।
এদিকে বিএনপি’র সমাবেশকে কেন্দ্র করে যে কোন ধরনের অনাকাংখিত পরিস্থিতি রোধে সদর রোড সহ আশপাশের এলাকায় মোতায়েন ছিলো বিপুল সংখ্যক পুলিশ।