মিয়ানমারে গণতন্ত্র দেখতে চায় বাংলাদেশ —শাহরিয়ার আলম

মিয়ানমারে গণতন্ত্র দেখতে চায় বাংলাদেশ। কারণ, সেখানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক ছাড় দিয়েছে ঢাকা। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম নিজ দফতরে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
মিয়ানমারে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সফরের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘অন্যকোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাংলাদেশ মতামত রাখতে চায় না। আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গণতন্ত্রায়নের জন্য আমরা ছাড় দিয়েছি।’
আমরা চেয়েছি, অং সান সুচির মতো একজন নেতা আসুক বা অন্যকোনও নেতা আসুক এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু হোক বলে তিনি জানান।
‘মিয়ানমার সফরে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি বার্তা দেবেন’, এমন আশা প্রকাশ করে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এখন যারা ক্ষমতায় রয়েছে, তারা যে যুক্তিতেই ক্ষমতায় এসে থাকুক না কেন, তারা জনগণের চাহিদা পূরণ করবে। এটি আমরা আশা করি।’
তিনি বলেন, ‘একটি রাষ্ট্রকে, একটি সম্ভাবনাকে টুটি চেপে মেরে ফেলা— এটির পক্ষে কেউ মতামত দিতে পারে না। প্রতিবেশী হিসেবে আমরা চাই, মিয়ানমারের জনগণের দাবি প্রতিফলিত হোক এবং মিয়ানমারের মানুষ শান্তিতে থাকুক।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তাদের দেশের সমস্যা আমাদের ওপরে যে প্রভাব ফেলে, সেটা আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি, ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার মধ্য দিয়ে।’
ভাসানচর
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সব সময় চেয়েছে, ভাসানচরে জাতিসংঘ তাদের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে বড় সহায়তাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র আমাদেরকে লিখিতভাবে জানিয়েছে যে, তারা এখন ভাসানচরে সহায়তা করবে। এছাড়া কানাডাও সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে।’
ভাসানচরে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি এবং এর ফলে বাংলাদেশের ওপরে এককভাবে চাপ পড়ছে এবং এই সিদ্ধান্তের ফলে সেটি লাঘব হবে বলে তিনি জানান।