শেবাচিম,জেনারেল হাসপাতাল ও আইন মহাবিদ্যালয় ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা

শেবাচিম,জেনারেল হাসপাতাল ও আইন মহাবিদ্যালয় ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা

বরিশাল নগরীর শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল এবং শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয় ‘নিরব এলাকা’ ঘোষণা করে ওই সকল এলাকায় শব্দ দূষণ কমাতে প্রচার চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় ওই ঘোষণা দেয় পরিবেশ অীধদপ্তর।

বৃহষ্পতিবার নগরীর শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল ও শহীদ অ্যাডভোকেট আবদুর রব সেরনিয়াবাত আইন মহাবিদ্যালয় (ল কলেজ) এলাকায় শব্দ দূষণ ও গাড়ির হর্ণ বাজানো নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রচার কার্যক্রম চালানো হয়। 

এ সময় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুর রাজ্জাক, পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তোতা মিয়া, সহকারী বায়োক্যামিস্ট মুনতাছির রহমান এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সমন্বয়কারী রফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন। বরিশাল জেলা তথ্য অফিস এই প্রচারণা কাজ পরিচালনা করছে। 

প্রচারনায় জানানো হয় শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুসারে নিরব এলাকায় যানবাহনে চলাচলকালে হর্ণ বাজানো নিষেধ এবং দন্ডনীয় অপরাধ। প্রচারণার অংশ হিসেবে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। লিফলেটে বলা হয়- শব্দ দূষণের ফলে শ্রবণ শক্তি হ্রাস ও স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়। উচ্চ রক্তচাপ ও ফুঁসফুঁসজনিত জটিলতা, ক্ষুধামান্দা, হৃদরোগ, মস্তিস্ক বিকৃতি, অনিদ্রা এবং স্মরণশক্তি হ্রাস পায়।

এ আইন অমান্যকারীদের একমাস কারাদন্ড বা ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান আছে। পরবর্তী একই অপরাধের জন্য অনধিক ৬ মাস কারাদন্ড বা ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড কিংবা উভয় দন্ড হতে পারে।