দিনে দুইবার পানির নিচে তলিয়ে যায় বরিশালের নিম্নাঞ্চল

বরিশালের ১২টি পয়েন্টে ১২টি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আশ্বিনের ভরা অমাবশ্যায় জোয়ারের প্রভাব এবং উত্তর ও মধ্যাঞ্চল থেকে নেমে আসা বন্যার পানির কারণে দিনে দুইবার পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে বরিশালের নিম্নাঞ্চল।
গত টানা ৪ দিন ধরে সকাল-বিকেল দুই বেলা বরিশালের ১২টি পয়েন্টে ১২টি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে ধীরে ধীরে জোয়ারের প্রভাব কমে আসছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার।
প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার জানান, বরিশাল বন্যা পরিস্থিতি হয়নি। উত্তরাঞ্চলের বন্যা কেটে গেছে। সেই পানি এখন মধ্যাঞ্চলে রয়েছে। মধ্যাঞ্চলের বন্যার পানির চাপের কারণে অমাবশ্যার জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা বেড়ে যায়। আবার ভাটির সময় পানি কমে যায়। গত বুধবারও বরিশাল বিভাগের ১২টি নদীর পানি ১২টি পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। প্রতিদিন মিটার রিডিং নেয়া হয় সন্ধ্যার পর। বৃহষ্পতিবারও কয়েকটি নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে। তবে অমাবশ্যার প্রভাব কেটে যাওয়ায় ধীরে ধীরে পানি কমতে শুরু করেছে।
এদিকে গত ৪ দিন দুই বেলা নদী উপচে পানি প্রবেশ করছে লোকালয়ে। তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চল। বরিশাল নগরীর সদর রোডসহ বিভিন্ন ব্যস্ততম সড়ক-অলিগলিও দুই বেলা তলিয়ে যায়। ভাটির সময় আবার পানি কমতে শুরু করে। কিন্তু খাল ও ড্রেনগুলো সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় ভাটির সময় স্বাভাবিক গতিতে পানি নামতে পারছে না।