শেবাচিমে সন্ধানীতে রক্তের গ্রুপে ভুল নির্ণয়ের অভিযোগ

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সন্ধানী থেকে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ে ভুল ফলাফল দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (৩১ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উঠেছে, শেবাচিমের আইসিইউ-তে ভর্তি এক রোগীকে রক্ত দেওয়ার জন্য তার বাবা রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করতে যান। এ সময় সন্ধানী রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের ফলাফলে (এ-) এ নেগিটিভ আসে। এর আগে গত (২৮ মে) সন্ধানী থেকে ওই ব্যক্তি রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করান, সে সময় সন্ধানীর গ্রুপের ফলাফলে (এ+) এ পজিটিভ আসে। একই প্রতিষ্ঠান থেকে দুই রকম রক্তের গ্রুপের ফলাফল পাওয়া যায়। এতে বিভ্রান্তিতে পরেছে ওই ব্যক্তি ও তার স্বজনরা।
ওই ব্যক্তির ভাগনী বলেন (নাম গোপন রাখা হয়েছে), ‘স্বরুপকাঠীর বাসিন্দা আমার মামা তার মেয়েকে শেবাচিম হাসপতালের আইসিইউ-তে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করিয়েছে। ডাক্তার জরুরি ভাবে রক্ত সংগ্রহ করতে বলেছে। তখন সন্ধানীতে গিয়ে রোগীর বাবার রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করাতে যাই। এসময় একই জায়গা থেকে দুই রকম রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের ফলাফল দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে পাশের মেডিসিন ক্লাব থেকে আবার পরীক্ষা করিয়েছি। সেখান থেকে ফলাফল ঠিক এসেছে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘হাসপাতালে আইসিইউ-তে মুমূর্ষু অবস্থায় রোগী ভর্তি। জরুরী রক্ত প্রয়োজন, এ সময় তারা ভুল রিপোর্ট দিয়েছে। আমি পড়াশুনা করেছি বিধায় বুঝেছি। আমার মামা কখনো এটা বুঝতে পারতো না। এই ভুল রিপোর্টের দায় কে নিবে? একটি সরকারি হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষার ফল ভুল হয় কীভাবে? তাদের এ ভুলে আমাদের কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে কে দ্বায়িত্ব নিতো?’
তবে এর আগেও একাধীক বার সন্ধানীর নামে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ে ভুলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলাা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সন্ধানী ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এক সাধারণ সদস্য (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন,‘সাধারণত সন্ধানীর রিপোর্ট ভুল হয় না। তবে এমন একটি ভুলের জন্য আমরা ক্ষামা চাইছি। পরবর্তীতে যাতে ভুল না হয় সে সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে।’ তবে এই ভুলে একটা রোগীর কতটা ক্ষতি হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আসলে এই পরীক্ষার পরে যে রোগীর শরীরে রক্তটা দেওয়া হবে তার সঙ্গে আর একবার ক্রোসম্যাস করা হবে। তখন ভুলটা বের হয়ে আসে।’
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সন্ধানী ইউনিটের সাবেক সভাপতি রাসেদ মাহমুদ শাকিল বলেন,‘সন্ধানী অনেক বছর ধরে বরিশালে সেবা দিয়ে আসছে। সাধারণত ভুল হয় না। তবে হয়ত লেখায় ভুল হতে পারে। কিন্তু এতে ক্ষতি সম্ভাবনা কম, কারণ এই রক্ত গ্রহণ করার পরে শেবাচিমের ব্লাড ব্যাংকে ৫ বার পরীক্ষা করা হয়। তারপর রোগীকে দেওয়া হয়। সেখানে ভুল ধরা পরে। তবে এর পরে যাতে ভুল না হয় সে জন্য সকলকে সতর্ক করা হবে বলে জানান তিনি।