শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র

শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র

নব্বইয়ের দশকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর সঙ্গে সাংগঠনিক নির্বাচনে লড়াইয়ের পরেই দল ছেড়েছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মারা গেছেন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। দক্ষিণ কলকাতায় একটি হাসপাতালে বুধবার দিবাগত রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, পুরোনো পেসমেকার বদলের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন সোমেন। ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ডায়ালিসিস করতে হচ্ছিল। তবে মঙ্গলবার রাত থেকে তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল।

তার পরিবার জানায়, বুধবার নার্সিং হোমে তিনি হাঁটাচলা করেছিলেন। পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। কিন্তু গভীর রাতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন তিনি।

আমহার্স্ট স্ট্রিটের ‘ছোড়দা’ নামে কংগ্রেস রাজনীতিতে বেশি পরিচিত ছিলেন সোমেনবাবু। প্রয়াত বরকত গনি খান চৌধুরীর শিষ্য বলা হতো তাকে। অধুনালুপ্ত শিয়ালদহ কেন্দ্র থেকে বেশ কয়েকবার বিধায়ক হয়েছিলেন।

২০০৭ সালে কংগ্রেস ছেড়ে প্রথমে প্রগতিশীল ইন্দিরা কংগ্রেস গঠন করেন সোমেনবাবু। তার পরে যোগ দেন তৃণমূলে। ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সাংসদ হয়েছিলেন ২০০৯ সালে। আবার ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে কংগ্রেসে ফিরে আসেন তিনি।

নব্বইয়ের দশকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর সঙ্গে সাংগঠনিক নির্বাচনে লড়াইয়ের পরেই দল ছেড়েছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে নির্বাচনে বিপর্যয়ের দায় নিয়ে সোমেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন ১৯৯৮ সালে। ফের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে ফেরেন ২০ বছর পর, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে। বলা হচ্ছে, তার মৃত্যুতে কংগ্রেস রাজনীতিতে একটি অধ্যায়ের অবসান হলো।

হাসপাতালে থাকাকালীন সোমেনের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। গত রবিবার ফোন করে স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন, পরে ফুল পাঠিয়ে সোমেনের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।


ভোরের আলো/ভিঅ/৩০/২০২০