চালককে মারধরের অভিযোগে বন্ধ রাখা বাস চলাচল শুরু করেছে ঝালকাঠি জেলা বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতি।
তবে বরিশাল মালিক সমিতির কোনো বাস তাদের জেলায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি বরিশাল নগরের রুপাতলী বাসস্ট্যান্ডেও ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির কোনো বাস আসছে না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি আন্তঃজেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী জানান, যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে রোববার (১৬ জুন) সকাল থেকে বরিশাল নগরের শেষপ্রান্ত ও ঝালকাঠি জেলার শুরু অর্থাৎ কালিজিরা ব্রিজ সংলগ্ন রায়াপুর এলাকা থেকে বাস চলাচল শুরু করেছে। এখান থেকে শুধু ঝালকাঠি জেলার বাসগুলো রোববার চলাচল করেছে। পিরোজপুর জেলার বাস সোমবার (১৭ জুন) থেকে চলাচল শুরু করবে। তবে বরিশাল মালিক সমিতির সঙ্গে চালককে মারধরের বিষয় নিয়ে সমাধান না হওয়ায় তাদের কোনো বাস ঝালকাঠিতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, আশা করি, সোমবার এর সমাধান হয়ে যাবে। তখন আগের মতো বরিশালের রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে বরিশাল-ঝালকাঠি, পিরোজপুরসহ সবরুটে স্বাভাবিক নিয়মে বাস চলাচল করবে।
তবে এ বিষয়ে বরিশাল রুপাতলীর বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন বলেন, ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি শনিবার (১৫ জুন) তাদের নিজ ইচ্ছেতেই অনর্থক বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। রোববার আবার রায়াপুরে তাদের অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস চলাচল শুরু করলেও আমাদের বাস ঝালকাঠি ও ঝালকাঠি হয়ে কোনো রুটে চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে বৈঠক হচ্ছে, সেখানে কোনো সমাধান না হলে বৃহৎ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি।
এদিকে, রায়াপুর থেকে বাস চলাচল শুরু হওয়ায় ঝালকাঠিগামী যাত্রীদের বাড়তি প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ রুপাতলী থেকে বিকল্পভাবে যেতে হচ্ছে।
ঈদের আগে বরিশাল মালিক সমিতি স্ট্যান্ডে চাঁদার পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়ায়। যা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে ঝালকাঠি জেলার বাসের চালক ও শ্রমিকরা। ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে ঝালকাঠির বাসের চালক মিলনকে মারধর করে বরিশালের শ্রমিকরা। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়েছে। তবে এ ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকরা ঝালকাঠি জেলার অভ্যন্তরীণ সবরুটে তাৎক্ষণিকভাবে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি ঝালকাঠি জেলার সড়কপথ হয়ে বরিশাল মালিক সমিতির বাস চলাচলও বন্ধ করে দেয়।