শ্রমিকদের গণতান্ত্রিক শ্রম আইনের দাবি আজ উপেক্ষিত

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের কেন্দ্রিয় সভাপতি শ্রমিকনেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেছেন, স্বাধীনতার ৪৯ বছরে এসে দেশের উন্নয়নের নানা বয়ান প্রতিদিন প্রচারিত হচ্ছে অথচ এই উন্নয়ন আর অগ্রগতির নিয়ামক শক্তি শ্রমিক, যাদের ন্যায্য মজুরি এখনও নিশ্চিত হয়নি। ১০২টি প্রাতিষ্ঠানিক শিল্পখাতের অন্তত ৬২টিতে ঘোষিত মজুরি কাঠামো নেই। রপ্তানি আয়ের প্রধান খাতের গার্মেন্টস শ্রমিকরা ন্যূনতম মজুরি ১৮ হাজার টাকা দাবি করছে, অথচ দাবির অর্ধেক বেতনও তাদের দেয়া হয়নি। অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে মজুরির কোন নূন্যতম নীতিও নেই।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপগক্ষে বৃহষ্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরের অশ্বিনী কুমার হলে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় তিনি আরো বলেন, ন্যায্য মজুরি ও গণতান্ত্রিক শ্রম আইনসহ শ্রমিকের অধিকারসমূহ আন্দোলন সংগ্রামের পথেই আদায় করতে হবে। কারণ শ্রমিকদের গণতান্ত্রিক শ্রম আইনের দাবি আজ উপেক্ষিত। যতটুকু আইন আছে, তারও কার্যকারিতা নেই। শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতির জন্য নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র তাও প্রদান করা হয় না। কাজ করতে এসে প্রতিবছর বহু শ্রমিক মৃত্যুবরণ করে কিন্তু তাদের কর্মক্ষেত্রে জীবনের নিরাপত্তা নেই। আজ কর্মক্ষেত্রে নিহত- আহত হলে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপুরণ, চিকিৎসা আর পুনর্বাসনের দাবি উপেক্ষিত। তিনি বলেন, শ্রমিকরা দেশের শিল্প বা কারখানা বাঁচিয়ে রাখতে সংগ্রাম করে জীবন দিচ্ছে; তাদের সকল জীবনীশক্তি ক্ষয় করে উৎপানের চাকাকে সচল রাখছে, উন্নয়নের গতিকে ধরে রাখছে কিন্তু তারা মর্যাদা নিয়ে বেচে থাকতে পারছেন না। তাদের থাকার ঘর নেই, তিন বেলা মানসম্মত খাবার জোটে না, তাদের রেশনের দাবি উপেক্ষিত। চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল নাই, তাদের সন্তানের লেখাপড়ার কোন ব্যবস্থা নেই।
শ্রমিক ফ্রন্ট বরিশাল জেলা কামিটির সহ- সভাপতি দুলাল মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বাসদ বরিশাল জেলার আহ্বায়ক ইমরান হাবিব রুমন, সদস্য সচিব ডাঃ মনীষা চক্রবর্তী, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের শহীদুল ইসলাম, বাবুল তালুকদার, মিজানুর রহমান, হানিফ মৃধা প্রমুখ।