সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করে হুমকীর মুখে গোল্ডেন লাইন পরিবহনের ম্যানেজার

বরিশালে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মামলা করে প্রণনাশের হুমকীর মুখে পড়েছেন বরিশাল নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের গোল্ডেন লাইন পরিবহনের ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম। বরিশালে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন লিটন মোল্লা তার প্রাণনাশের হুমকী দিচ্ছেন।
রোববার বেলা ১১টায় শহীদ আ. রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত লিভিত বক্তব্যে ওই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন লিটন মোল্লার বিরুদ্ধে বিভিন্ন চাঁদাবাজী ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, গত ২২ জুলাই রাতে নথুল্লাবাদ বাস টর্মিনালের পরিবহন কাউন্টার থেকে বাসায় ফেরার পথে পথরুদ্ধ করে বকেয়া চাঁদার টাকার জন্য কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন লিটন মোল্লার অনুগত চাঁদাবাজ এক দল সন্ত্রাসী তাকে মারধর করে। এসময় তারর সঙ্গে থাকা পরিবহনের ২ লাখ ৪৩ হাজার ৯০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই এয়ারপোর্ট থানার এ.এস.আই রুহুল আমীনসহ একদল পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এঘটনায় চেয়ারম্যন লিটন মোল্লাসহ তার অনুগত বাহিনীর সদস্য ও হামলাকারী রনি মৃধা, মো. রুবেল, মো. তারেক মো. নাসির, মো. সোহাগ, মো. মাসুম, মো. সুজন, মো. জলিল, মো. মাসুদ ওরফে ইঞ্জিন মিস্ত্রি ও মো. ইউনুসকে আসামী করে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা করার পর লিটন মোল্লার সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক জীবন নাশের হুমকির মুখে পড়েছেন তিনি। অবিলম্বে সন্ত্রাসী, হামলাকারী ও চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তার করার মাধ্যমে আইনের শাষণ বাস্তবায়ন ও জীবনের নিরাপত্তাসহ কর্মস্থলে নিরাপদে চাকুরী করার দাবি করেছেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করা হয়, গোল্ডেন লাইনের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন লিটন মোল্লা টার্মিনালে কাউন্টার রাখতে হলে তাকে প্রতিমাসে ২৫ হাজার টাকা করে সম্মানী চাঁদা দিতে হবে বলে জানায়। চাঁদা না দেওয়ায় তিনি বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতিসহ নানা ধরণের হুমকি দেয়। পরবর্তী সময় তার চাহিদা অনুযায়ী টাকা দেওয়া হচ্ছিল। গত ৩ মাস প্রাণঘাতী করোনাকালে সরকারীভাবে সকল পরিবহন বন্ধ হয়ে যাবার কারণে লিটন মোল্লাকে তার দাবিকৃত চাঁদার টাকা পরিশোধ না করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। বেশ কয়েকদিন ধরে পিচনের টাকার জন্য বাসায় ডেকে নিয়ে গালিগালাজ করা ও ভয়ভীতিসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি প্রদর্শন করে আসতেছিল।
তিনি আরো বলেন, গত ১ মার্চ লিটন মোল্লার চাঁদাবাজী বন্ধ ও স্টাফদের নিরাপত্তার কথা জানিয়ে গোল্ডেন লাইন স্বত্বাধীকারী মো. ওয়াহিদ মিয়া কেন্দ্রীয় বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের নিকট লিখিত একটি অভিযোগ দেন। কিন্তু এব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এব্যাপারে কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও শ্রমিক নেতা মো. কামাল হোসেন লিটন মোল্লার মুঠো ফোন ০১৮২০৫৫৫৫৫০ একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।