সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ এবং মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়া এবং বহুমাত্রিক সমাজ বিনির্মাণে মুক্ত, স্বাধীন এবং দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আজ রোববার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে অনলাইনে দেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেমন প্রয়োজন একইসাথে আমাদের সম্মিলিত দায়িত্বশীলতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকরা এবং গণমাধ্যমের সাথে যারা যুক্ত আছেন তারা এই বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনো পরিস্থিতির মধ্যে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন।’
করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর খোকনের মৃত্যুতে তার বিদেহী আত্মার শান্তিকামনার পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত অন্যান্য সাংবাদিকদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তথ্যমন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী এসময় পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, আমাদের সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ এবং মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে। সেই কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক
এক পরিসংখ্যা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল ৪৪৫টি, ২০২০ সালে এখন দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ১ হাজার ২৯৪টি। ২০০৯ সালে সাপ্তাহিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল ২০৮টি, এখন সেটি ১ হাজার ২০৮টি।’
ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের খতিয়ান দিয়ে ড. হাছান মাহমুদ জানান, রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ২০০৯ সালে ছিল দুটি, এখন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চারটি। বেসরকারি টেলিভিশন ২০০৯ সালের শুরুতে ছিল ১০টি আর এখন ৪৫টির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এফএম বেতার ২০০৯ সালে ছিল চারটি, এখন ২৪টি এফএম বেতার কেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগ সম্প্রচারে আছে। কমিউনিটি রেডিও ২০০৯ সালে একটিও ছিল না, এখন ৩২টি কমিউনিটি রেডিও অনুমোদন দেয়া আছে, তারমধ্যে অনেকগুলো সম্প্রচারে আছে।
‘এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার গণমাধ্যমের অবাধ বিস্তৃত এবং স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং সেই কারণেই গত ১১ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে’ যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।