সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না

সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার বাজারের উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এর প্রধান কারণ হচ্ছে সিন্ডিকেট ও আওয়ামী লীগ ব্যবসায়ী। ফলে তারা জনগণের আশা-আকাঙ্খা ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে। ৭২ থেকে ৭৫ সালে যা হয়েছিল, আবারও তারা তাই করছে। সরকারের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এদের দিন শেষ হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে যুবদল। 

যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পরিচালনায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামসহ যুবদলের নেতারা বক্তব্য রাখেন। 

 

যুবদলের এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল ১০টার আগে থেকেই মিছিল নিয়ে যুবদলের নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাবের সামনে এসে জড়ো হতে থাকেন। লোকসমাগম বেশি হওয়ায় এক সময় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তার উপর যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। 

সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনাদের দিন শেষ হয়ে এসেছে। ভালোই ভালোই পদত্যাগ করুন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করুন। 

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাব বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্যের উপর পড়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন বিএনপি মহাসচিব। 

‘করোনার পর এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে জিনিসপত্রের দাম সব জায়গায় বেড়েছে’ -প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব প্রশ্ন রেখে বলেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ কবে থেকে শুরু হলো? 

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সরকারের অন্যায় নিপীড়ন বন্ধ করতে হলে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হলে, দেশে আসন্ন দুর্ভিক্ষ রুখতে হলে এই সরকারকে হটানোর কোনো বিকল্প নাই।   

মির্জা ফখরুল দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আন্দোলন সংগ্রামের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। স্বৈরাচার রুখে দাঁড়াতে হবে। রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে সরকারকে পরাজিত করার মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।