সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে সাংবাদিকদের। যেমন মানুষ মানুষের জন্য তেমনি সাংবাদিক সাংবাদিকের জন্য হতে হবে। সাংবাদকি ঐক্যদ্ধ হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম চালতে হবে। মানুষ ও দেশের পক্ষে হয়ে সত্য বলতে হবে। সত্য এবং সুন্দর এক হলে যেই রূপের সৃষ্টি হয়। সেই রূপ এই বাংলাকে দিতে হবে। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কত সুন্দর ভাবে লিখে গেছেন ‘ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা’ তাই আমরা যেন ভুলে না যাই এই বসুন্ধরা, এই বাংলাদেশ, আমাদের মানুষ। সত্য এবং সাংবাদিক দুটোই এক তবে আমরা কেন আজ ভিন্ন? আজ সাংবাদিক নির্যাতন করার সাহস কিভাবে পায়? তবে কি কলম থেমে গেছে? আজ মূল্যহীন কলম? তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া চাই। সাংবাদিকের মধ্যে দ্বন্দ চাইনা।
সাংবাদিক যেমন মানুষ ও রাষ্ট্রের বন্ধু। তেমন সাংবাদিক সাংবাদিকের বন্ধু হওয়া চাই। এক সাথে লড়তে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। সঠিক তথ্য প্রচারে যদি কেন বাঁধা আসে। বাঁধ ঐক্যবন্ধ হয়ে ভেঙে দাওয়া চাই। আমার আজ ভিন্ন ভিন্ন মহল গড়েছি বিধায় অন্যায় আজ সামনে এসে কথা বলতে সাহস পায়। সাহস পায় নির্যাতন করার, গুম করার, জেলে ভরে দেয়ার। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হচ্ছে সাংবাদিকতা। পেশা হিসেবে সাংবাদিকতায় সমাজ বা রাষ্ট্রের কল্যাণে অনেক অবদান রাখারে। এই পেশার মানুষদের উপর এত কলঙ্ক কিসের? কার কাছে এই প্রশ্ন? কার কাছে এই উত্তর?
হ্যাঁ উত্তর এবং প্রশ্ন দুটোই পাওয়া যাবে যদি আমরা এক হই। দশে মিলে এক হতে হবে শূণ্য সাংবাদিকের জন্য নয়। শূণ্য ছেড়ে আজ এক হওয়া চাই। হলুদ সাংবাদিকতা বিরুদ্ধে লড়তে হবে। স্বচ্ছতাকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। খুব বড় কিছু নয়। বরং ঐক্যবদ্ধ হওয়া চাই। ঐক্যবদ্ধ ছাড়া বিকল্প নাই।
সাংবাদিক সমাজের দর্পন। আর সেই দর্পন যদি ভেঙে যায় তবে মানুষের কোথায় ঠাই মিলবে। যারা এখনও স্বচ্ছ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে দুর্বৃত্তদের রুখতে হবে। সোনার বাংলাকে সোনার বাংলা হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম আলজাজিরা আমাদের সু-স্পষ্ঠ করেদিয়েছে এদেশের সাংবাদিকরা সব চেয়ে বেশি অবহেলিত ও বঞ্চিত। মুখ বন্ধ। তবে একি লজ্জা নয়? আর কত মুখ ফিরিয়ে পশ্চিমকে পূর্ব বলবো? আমারা কেন থেমে আছি? কেন ঐক্যবদ্ধ হই না?
তাই যে যার যায়গা থেকে সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগে সঠিক পথে ফিরে আসতে হবে।