সাগরে নিম্নচাপ, ভোলায় ১০ ট্রলার ডুবি

সাগরে নিম্নচাপ, ভোলায় ১০ ট্রলার ডুবি

সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাসন ও দৌলতখানে ১০টি জেলে ট্রলার ডুবে গেছে। এসব ট্রলারের অধিকাংশ জেলে উদ্ধার হলেও কতজন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। এদিকে প্রবল ঝাড়ো বাতাসে চরফ্যাসন উপজেলার ঢালচরে বেশ কিছু কাঁচা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। অতি জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে জেলার নিম্নাঞ্চল। 

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, আজ মঙ্গলবার ভোর থেকেই সাগর মোহনা ও মেঘনা তেতুলিয়া নদী বেশ উত্তাল। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে সাগর মোহনা আরও উত্তাল হয়ে ওঠে। থেমে থেমে বাতাস ও বৃষ্টি হচ্ছিল। সকাল ১১টার দিকে বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়ে চরফ্যাসনের ঢালচর এলাকার সাগর মোহনায় ৮ জেলে নিয়ে মোস্তফা মাঝির মাছ ধরার ট্রলারটি ডুবে যায়। 

মোস্তফা মাঝি জানান, সংবাদ পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি ট্রলার নিয়ে নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে নেমেছেন। শেষ সংবাদ পাওয়া পর্যন্ত তার সকল জেলেই জীবিত উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও একই সময়ে মনির মাঝির ৬ জেলে, নুরুল ইসলাম মাঝির ৮ জেলে, জালাল মাঝির ৬ জেলে এবং ওয়াসিম মাঝির ৪ জেলে নিয়ে ট্রলারগুলো ডুবে গেছে। 

 

গতকাল বিকালে আরও ৪টি ট্রলার ডুবির সংবাদ পাওয়া গেছে। অধিকাংশ জেলেই জীবিত উদ্ধার হয়েছেন। তবে কতজন নিখোঁজ রয়েছে তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। এদিকে ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম হাওলাদার জানান, প্রবল বাতাসে আর অতি জোয়ারে ঢালচরের বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়াও একটি দাখিল মাদ্রাসাসহ বেশ কিছু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

চরফ্যাসন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্রকর্তা মারুফ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, কয়েকটি জেলে ট্রলার ডুবির সংবাদ পাওয়া পেয়েছেন। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে নদীতে যাওয়া যাচ্ছে না। 

এদিকে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ভোলার দৌলতখান উপজেলার মেঘনা নদীতে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। 

ভোলা থানার ওসি শাহিন ফকির জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।