সুকান্ত ছিলেন সাধারণ মানুষের প্রতিচ্ছবি

‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি/ অবাক পৃথিবী অবাক করলে তুমি, জন্মেই দেখি ক্ষুব্ধ স্বদেশ ভূমি অথবা হে সূর্য, শীতের সূর্য, হীমশীতল সূদীর্ঘ রাত তোমার প্রতিক্ষায় আমরা থাকি।’ কবি সুকান্ত ভট্টাচর্যের লেখা এই কবিতাগুলো সাধারণ মানুষের একান্ত আবেগ ও অনুভূতি ফুটে ওঠে। তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের প্রতিচ্ছবি। একজন সাধারণের মহামানব।
উদীচী এবং বরিশাল নাটকের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সুকান্ত জয়ন্তীর আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় নগরের উত্তর মল্লিক রোডে উদীচী ভবনে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বরিশাল নাটকের সভাপতি কাজল ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুকান্ত জয়ন্তীর আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুকুল দাস, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি অ্যাড. বিশ^নাথ দাস মুনশী, বরিশাল নাটকের সাবেক সভাপতি আজমল হোসেন লাবু, কবি ও নাট্যকার নজমুল হোসেন আকাশ, বরিশাল নাটকের সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথি, উদীচী সাধারণ সম্পাদক স্নেহাংশু কুমার বিশ্বাস প্রমূখ।
আবৃত্তি পরিবেশ করে অধ্যাপক সঞ্জয় সাহা, সুজয় সেনগুপ্ত। পরে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা সুকান্ত ভট্টাচার্যের লেখা গান পরিবেশেন করে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, সুকান্ত ভট্টাচার্য মাটির সঙ্গে থেকে মাটির মানুষের সুখ, দু:খ, হাসি, কান্নার চিত্র লেখার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। তিনি বঞ্চিত এবং শোষিত মানুষের পক্ষে থেকে তাদের উজ্জীবীত করেছেন। আজকের যে অশুভ শক্তির উত্থান ঘটছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হলে আমদের বেশি বেশি সুকান্ত চর্চা করতে হবে। সুকান্ত ভট্টাচার্যের আদর্শে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই সুকান্তর স্বপ্ন এই পৃথিবী আগমী শিশুর বাসযোগ্য হবে।