সুশীলনের ৩০ বছর পূর্তি

সুশীলনের ৩০ বছর পূর্তি

বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সুশীলন-এর ৩০ বছর পূতি উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমের সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বেলা ১১টায় ভাচুয়ালি অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় দেশের প্রায় ১৫০ জন জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 সুশীলনের নির্বাহী প্রধান মোস্তফা নুরুজ্জামানের সঞ্চালনায় ভার্চুয়ালি মতবিনিময় সভায় সুশীলনের কর্মসূচি ও কার্যক্রম সম্পর্কে জাতীয় ও স্থানীয় প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরা হয়।

‘প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করি, নবচেতনায় সমাজ বিনির্মাণে অবদান রাখি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সুশীলন এবছর ৩০ বছর পূর্তি উৎসব পালন করছে।  

গত ২ নভেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় খাদ্য মন্ত্রী সুশীলন-এর ৩০ বছর পূতি উপলক্ষ্যে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

গতকালের আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারী সাংবাদিকরা বলেন, এদেশের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সুশীলনের মত বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টি, স্যানিটেশন, দারিদ্র দূরিকরণ, পরিবেশ উন্নয়ন ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে চলেছে। সুশীলন উপকূলীয় অঞ্চল তথা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হত দরিদ্র মানুষের জীবন মান উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। গত ২০১৭ সাল থেকে সুশীলন রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং হোস্ট কমিউনিটির মানুষের জীবন মান উন্নয়নে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। 

সাংবাদিকদের অনেকেই বলেন, সারা পৃথিবীব্যাপী মহামারী করোনাকালীন সময়েও সুশীলন মানুয়ের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষকে সাধ্যমত সেবা প্রদান থেকে বিন্দুমাত্র পিছু হটেনি। আমাদের জানা মতে, সুশীলন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (ঘএঙ), তাই এর দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বেশী। সেদিক থেকে সুশীলন গত ৩০ বছরে যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। তারা আশা করেন সুশীলন আগামী দিনগুলিতেও মানুষের পাশে থেকে সর্বদা সেবা দিয়ে যাবে। 

সুশীলনের সভাপতি আ জ ম আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে দেশের বিভিন্ন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও জাতীয় ও আঞ্চলিক প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত সাংবাদিকরা বক্তব্য রাখেন।