সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ ৮ মাস পর

সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ ৮ মাস পর


৮ মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে ফের পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে আগামীকাল শুক্রবার সকাল থেকে এ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দাবাদ চলাচল শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এর আগে করোনাভাইরাসের ক্রান্তিকালে পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা বিবেচনা করে চলতি বছরের ১৮ মার্চ এ পথে সকল পর্যটকবাহী জাহাজ বন্ধ করে দিয়েছিল জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার বিকালে কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলি এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শুক্রবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কাগজপত্র যাচাই-বাচাই করে শুধুমাত্র কেয়ারি সিন্দাবাদ নামে একটি জাহাজকে অনুমতি দেওয়া হয়।


বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-পরিচালক নয়ন শীল বলেন, চলতি মৌসুমে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচলের জন্য দু'টি জাহাজে অনুমতি চেয়েছে। তার মধ্যে কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজকে গত ১ অক্টোবর থেকে ১২ ডিসেম্বর এবং এমভি ফারহান পর্যটকবাহী জাহাজকে ৪ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুমতি দেওয়ার পরও ঠিক কি কারণে এ নৌরুটে জাহাজ চলাচল এতো দিন শুরু হয়নি সেটা জানা নেই।

কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের টেকনাফের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র পেয়েছি, শুক্রবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজ চলাচল শুরু করবে। যদিও এর আগে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ-পরিবহন দফতরের ছাড়পত্র পাই। আমরা এখন থেকে দ্বীপে ভ্রমণকারীদের টিকেট বিক্রি শুরু করেছি।

সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, দ্বীপে পর্যটক ব্যবসায়ীরা তাদের আবাসিক হোটেল ও কটেজগুলো সাজিয়ে রাখছেন। জাহাজ চলাচলের খবরে দ্বীপে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরেছে।