স্ত্রীর স্বীকৃতি দাবিতে যুবতীর কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
চাকুরী দেয়ার পাশাপাশি বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কের পর এক যুবতীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়ন ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বরিশালে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন একই ইউনিয়নের বাসিন্দা কলেজ অধ্যক্ষর প্রলোভনের শিকার ফাতেমা আক্তার।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় নগরের রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফাতেমা আক্তার (২১) ওই অভিযোগ করেন।
অধ্যক্ষ মো. সহিদুল ইসলাম বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৯ নম্বর কলসকাঠি ইউনিয়নের কোছনগর গ্রামের আ. রশিদ মাতুব্বরের ছেলে।
লিখিত বক্তব্যে ফাতেমা আক্তার বলেন, অধ্যক্ষ মো. সহিদুল ইসলাম এর সঙ্গে কয়েক বছর আগে তার পরিচয় হয়। ফাতেমা তখন বাকেরগঞ্জ মাছুয়াখালি কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যকর্মী পদে কর্মরত ছিল। পরিচয় হওয়ার পরই অধ্যক্ষ সহিদুল তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফাতেমাকে চাকুরী দেয়ার আশ^াস দেন। চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ফাতেমার মুঠোফোন নম্বর নেয় অধ্যক্ষ সহিদুল। ফোনে তাদের দু’জনের কথা হয়। দু’বছর পর অধ্যক্ষ সহিদুল ফাতেমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর কুয়াকাটা-পটুয়াখালির আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন সময় একত্রে রাত্রীযাপন করেন। মাস কয়েক আগে ওই অধ্যক্ষর সন্তান ফাতেমার গর্ভে আসে। বিয়ের আগে সন্তান নিবে না। এমন কথা বলে ফাতেমার গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলে সহিদুল। সন্তান নষ্ট করার পরপরই তাদের সম্পর্কের সকল তথ্য প্রমাণ ফাতেমার নিকট থেকে নিয়ে যায় অধ্যক্ষ সহিদুল। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বরসহ একাধিক ব্যক্তি।
ফাতেমা আরো বলেন, জীবনের সবকিছু হারানোর পর ফাতেমা জানতে পারেন অধ্যক্ষ মো. সহিদুল ইসলামের ২ সন্তানসহ স্ত্রী রয়েছে। এই ঘটনার জন্য বর্তমানে ফাতেমা গৃহহারা। থানা পুলিশের কাছে গিয়েও আইনের আশ্রয় পায়নি। বরিশালে বড় এক বোনের বাসায় থেকে সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে দৌড়ঝাপ করছে ফাতেমা। একই সঙ্গে ফাতেমা অধ্যক্ষ মো. সহিদুল ইসলাম এর স্ত্রীর মর্যাদা চায়। সেই মর্যাদা না পেলে এবং শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু বিচার না পেলে আত্মহত্যা করবে বলে জানায় সংবাদ সম্মেলনে। এব্যাপারে সে পশাসন ও জনপ্রতিবিধিদের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছে।