স্বশরীরে পরীক্ষা দিতে এসে আটকে পড়া শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরতে পারছে না

স্বশরীরে পরীক্ষা দিতে এসে আটকে পড়া শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরতে পারছে না

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বশরীরে পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা কঠোর লকডাউনে আটকা পড়েছে। তারা বাড়ি ফিরতে চাইলেও ফিরতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিজস্ব পরিবহনে বাড়ি ফিরতে চান তারা। এ বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস। 

গত ২৪ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের স্থগিত ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা স্বশরীরে শুরু হয়। করোনার কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় ওইসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে স্বশরীরে পরীক্ষার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রথমে ৪টি বিভাগের পরীক্ষা শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। স্বশরীরে এসব পরীক্ষায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বরিশালে এসে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। ২৪ জুন দুটি বিভাগের এবং ২৬ জুন দুটি বিভাগের পরীক্ষা স্বশরীরে গ্রহণের পর সারা দেশে সপ্তাহব্যাপী কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এতে বরিশালে আটকা পরেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শিক্ষার্থীরা। লকডাউনের প্রথম ৫ দিন মেসে, আবাসিক হোটেলে এবং সহপাঠী ও আত্মিয়-স্বজনের বাসায় অবস্থান করে হাফিয়ে উঠেছেন তারা। দ্বিতীয় দফায় আরও ৭ দিন কঠোর লকডাউন ঘোষণা করায় বিকাপে পড়েন তারা। এ অবস্থায় বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন আটকে পড়া শিক্ষার্থীরা। 

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত সারওয়ার জানান, ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকরা বলেছিলেন চলতি বছরের মার্চে পরীক্ষা হবে। ওই সময় পরীক্ষা দিতে এসেও পরীক্ষা না হওয়ায় ভোগান্তির শিকার করে বাড়ি ফিরে যেতে হয়েছিল তাদের। পরে আবার কর্তৃপক্ষ জুন মাসে স্বশরীরে পরীক্ষা গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে। স্বশরীরে পরীক্ষায় অংশ নিতে লকডাউনের মধ্যে ফের বরিশাল এসে বাসা ভাড়া নিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় সরকার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করায় বিপাকে পড়েছেন তিনিসহ অন্যান্যরা। লকডাউনে পরীক্ষা হবে না বিধায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় বাড়ি ফিরতে চান তারা। 

তার মতো দূর-দূরান্ত থেকে আসা ২ শতাধিক শিক্ষার্থী লকডাউনে আটকা পড়েছে বরিশালে। তারা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় বাড়ি ফিরতে উদগ্রীব বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম।

 দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বশরীরে পরীক্ষা দিতে এসে কঠোর লকডাউনে ২ শতাধিক শিক্ষার্থীর আটকে পড়ার সত্যতা স্বীকার করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবীর বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।