স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রণোদনা পায়নি গত ৯ মাস

সরকারের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও করোনার চিকিৎসার সাথে সম্পৃক্ত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা গত ৯ মাসে কোন প্রণোদনা ভাতা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
সোমবার জাতীয় সংসদে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন। এরআগে সকাল ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।
হাসানুল হক ইনু বলেন, করোনায় যেসকল স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন, আমি অবাক হয়ে দেখলাম, গত ৯ মাসে তাদের জন্য প্রতিদিন, ডাক্তারের জন্য দুই হাজার টাকা, নার্সের জন্য ১২০০ টাকা এবং স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য ৮০০ টাকা। কিন্তু ৯ মাসে সেই টাকা যায়নি মাননীয় স্পিকার। যারা জীবন হাতে নিয়ে কাজ করছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টাকা বরাদ্দ আছে- তাই টাকাটা দেয়া উচিত। প্রণোদনা দেয়া উচিত। আর সরকারের নীতিমালা পরিবর্তন করে সকল ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ঝুঁকি ভাতা দেয়া উচিত।
করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সাংসদ ইনু বলেন, করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক। করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত এবং মৃত্যুহারও আশঙ্কাজনক। এটা শুধু শহরে নয়, জেলা, গ্রামে এবং উপজেলাতেও সংক্রমণ ঘটেছে। ঘরে ঘরে অনেক অসুস্থ। জেলা ও উপজেলায় রোগীর জন্য বেড প্রায় নাই বললেই চলে। সরকারও চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন। সরকারের ভিতরেও অনেক অস্থিরতা লক্ষ্য করছি।
হাসানুল হক ইনু বলেন, গত কয়েক দিনে লকডাউন ও শাটডাউন নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি এবং তা ঘনঘন সংশোধন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অদল-বদল করা। এ নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য-বিবৃতির মধ্য দিয়ে অস্থিরতাই প্রকাশ পাচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত। এই কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা লক্ষণীয়। মাননীয় স্পিকার সংক্রমণ বিস্তার রোধে লকডাউন ও শাটডাউনের কোন বিকল্প নাই। কিন্তু অভিজ্ঞাতা বলে যে, দুই-তিন দিনের মধ্যেই খাদ্যের জন্য সাধারণ মানুষের হাহাকার শুরু হবে। আবার জীবিকাও সংকট দেখা দেবে।
সাংসদ ইনু বলেন, আমি মনে করি, জেলা ও উপজেলায় হাসপাতালে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। অবিলম্বে কিছু বেড বাড়ানো উচিত। একই সাথে বলবো, একটা রোগীও যাতে ফেরত না যায়। তার ব্যবস্থা করা।