স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপরে করোনা পরিস্থিতি নির্ভর করে-বিএমপি কমিশনার

‘মাস্ক পরার অভ্যেস, করোনা মুক্ত বাংলাদেশ’ এই শ্লোগান নিয়ে জনসচেতনামূলক সভা করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। বরিশাল নগরের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বাস মালিক ও শ্রমিকদের অংশগ্রহণে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার বরিশাল নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ভবনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান ছিলেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।
সভায় পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘আমাদের নিজেদের হাতেই রয়েছে করোনার সুরক্ষা। আমাদের আচরণ এর ওপরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপরে করোনা পরিস্থিতি নির্ভর করে। দেশের প্রয়োজনে জনগণের বিপদে আপনি এদেশের একজন নাগরিক হিসেবে, পরিবহন সেক্টরের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে এই বিপদে কি ভূমিকা রাখলেন, কতটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেন, অন্যকে মেনে চলতে উৎসাহিত করলেন এটাই আপনার আসল পরিচয়।
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই করোনার প্রাদুর্ভাব মারাত্মক আকারে বেড়ে যাচ্ছে। গত ১০ দিনে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার বিগত বছরের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। সম্প্রতিক সময়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি। বিজ্ঞানীদের মতে পূর্বের চেয়ে প্রায় ৭০ ভাগ বেশি শক্তিশালী বর্তমান করোনা সংক্রমণ। তাই নিজের জীবন, বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, দেশ ও দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।
মালিক এবং শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘করোনা মোকাবেলায় বাস স্ট্যান্ড, লঞ্চ টার্মিনাল, রেল স্টেশনে গণজমায়েত বেশি হয়। এ কারণে আপনারাই করনা প্রতিরোধের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। টার্মিনালের মধ্যে গণপরিবহনে কেউ মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করবে না, গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী তুলতে হবে, ‘নো-মাস্ক, নো-সার্ভিস, নো-মাস্ক নো-এন্ট্রিট, নো-মাস্ক নো মুভমেন্ট’ বিষয়টি মাথায় রেখে চলমান সংকটের মধ্যে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) প্রলয় চিসিম, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) এনামুল হক, উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মোকতার হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মনজুর রহমান, বিআরটিএর বরিশাল বিভাগের উপ-পরিচালক মো. জিয়াউর রহমান, বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোশরেক বাবলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে, বরিশাল জেলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।