সয়াবিন তেল আগের দামেই বিক্রি

সরকারিভাবে ভোজ্য তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমানো হলেও পাড়া-মহল্লার দোকান বা স্থানীয় বাজারে এখনও কমেনি। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগের বেশি দামে কেনা তেল শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন দামে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।
মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
এ কয়টি এলাকার বাজার ও পাড়া মহল্লার দোকান ঘুরে জানা যায়, বোতল জাত সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯২ টাকায়। আর ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৯৪০ থেকে ৯৪৫ টাকায়।
১১ নম্বর বাজারের তেল বিক্রেতা মো. নাহিদ বলেন, বাজারে এখনও বেশি দামে কেনা তেল মজুদ রয়েছে। বাড়তি দামে কেনা তেল শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা যাচ্ছে না। সরকার নির্ধারিত দামে তেল বিক্রি করতে গেলে আমাদের লস হবে। কেউ তো আর লস করে পণ্য বিক্রি করবে না।
পল্লবী এলাকার পাটোয়ারী জেনারেল স্টোরের মালিক আবু বক্কর সিদ্দিক পিন্টু বলেন, আমার দোকানের জন্য যে পাইকারের কাছ থেকে তেল কিনি, তার কাছে এখনও বাড়তি দামের ৩০০ কার্টন তেল মজুদ আছে। এ তেল বিক্রি হতে সময় লাগবে অন্তত এক সপ্তাহ। আমাদের এসব তেল বিক্রি করতে আরও বেশি সময় লাগবে। সে হিসেবে সরকার নির্ধারিত নতুন দামে তেল বিক্রিতেও সময় লাগবে।
কলশী বাজারের তেল বিক্রেতা মো. জামাল বলেন, আমরা আগের বাড়তি দামেই তেল বিক্রি করছি। বেশি দামে কেনা বলেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারি বাজারে দাম কমলে কম দামে তেল বিক্রি করতে পারবো। এখন ১ লিটারের বোতল ১৯২ আর ৫ লিটারের বোতল ৯৪০ থেকে ৯৪৫ টাকায় বিক্রি করছি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে পল্লবী এলাকার বাসিন্দা মো. হুমায়ন কবির বলেন, বাজার ও পাড়া-মহল্লার দোকানে সরকার নির্ধারিত দামে ভজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে না। এদের অজুহাতের শেষ নেই। একটা না একটা অজুহাত থাকেই। যখন কোনো কিছুর দাম বাড়ে; তখন থেকে বাড়তি দাম নেওয়া শুরু হয়ে যায়। আমরা এক আজব দেশে বাস করি। নিয়মনীতি কেউ মানে না।
এর আগে, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৪ টাকা ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৭ টাকা কমছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭৮ টাকা, আগের দাম ১৯২ টাকা। খোলা সয়াবিন তেলের নতুন দাম হবে ১৫৮ টাকা। বর্তমানে বাজারে খোলা সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সোমবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম মোল্লার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়