১১ দফা বাস্তবায়নে বরিশাল নগরীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

করোনার তৃতীয় সম্ভাব্য ঢেউ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সচেতনতা রোধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। আজ শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমাপ্তি রায়ের নেতৃত্বে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। এদিকে এদিকে নৌপথে স্বাস্থ্য বিধি তদারকীতে আজও বরিশাল নদী বন্দরে অভিযান চালিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। 

করোনার তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে সরকারের ১১ দফা নির্দেশনা কার্যকর করতে আজ শনিবার সকালে নগরীর চকবাজার, ফলপট্টি, হোমায়েতউদ্দিন রোড ও বাজার রোড সহ বিভিন্ন এলাকার হোটেল রেস্তোরা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন। অপরদিকে নদী বন্দরেও তদরকী অব্যাহত রেখেছে কর্তৃপক্ষ। 

লঞ্চে মাস্কবিহীন যাত্রীদের ওঠানামা ঠেকাতে কঠোর ভূমিকায় ছিলো বিআইডব্লিউটিএ। এ সময় স্বাস্থ্য বিধি মেনে লঞ্চে আরোহনের জন্য সংশ্লিস্টদের প্রতি আহ্বান জানান কর্মকর্তারা। যাত্রী সংখ্যা কম হলেও স্বাস্থ্য বিধি মানতে তাদের উদ্বুদ্ধ করার কথা জানিয়েছেন নৌযান শ্রমিকরা। স্বাস্থ্য বিধি মানাতে তদারকী অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নদী বন্দর কর্মকর্তারা। 

এদিকে সরকারের ১১ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে আজ সকালে নগরীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। এ সময় হোটেল রেস্তোরায় টিকাধারী ব্যতিত অন্য কেউ প্রবেশাধীকার পাচ্ছে কিনা এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক ব্যবহারের বিষয়টি তদারকী করে ভ্রাম্যমান আদালত। তবে অধিকাংশ জায়গায় স্বাস্থ্য সচেতনতায় মানুষের মধ্যে উদাসীনতা দেখতে পেয়ে অসন্তুস্টি প্রকাশ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। করোনা ঠেকাতে সংশ্লিস্ট সকলকে সরকারের ১১ দফা নির্দেশনা বিষয়ে সতর্ক করা করার পাশাপাশি আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নেয়া হয়েছে বলে জানান ভ্রাম্যমান আদালত। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।