১২৬ ফুট বুদ্ধমূর্তি ঘিরে উৎসব

১২৬ ফুট বুদ্ধমূর্তি ঘিরে উৎসব

রাঙামাটিতে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের বৃহত্তম বুদ্ধমূর্তি। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১২৬ ফুট। স্থানীয়দের উদ্যোগে এই মূর্তি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মতে, এটি দেশের বৃহত্তম বুদ্ধমূর্তি, যা রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার শুভলং শাখার বনবিহারে স্থাপিত হয়েছে।

এই মূর্তি দেখতে প্রায় প্রতিদিন ভিড় জমছে ওই বিহারে। দেশি-বিদেশি ভক্ত পুণ্যার্থীরা ছাড়া বুদ্ধ মূর্তিটি একনজর দেখতে রাঙামাটিতে ছুটে আসছে পর্যটক দর্শনার্থীরাও। এ বুদ্ধমূর্তি ঘিরে উৎসবের জোয়ার বইছে পাহাড়ে। এ বুদ্ধ মূর্তির নিখুঁত হাতের কারুকাজ আর জলমলে সোনালী রঙে সাজানো হয়েছে পুরো বুদ্ধ মূর্তিটি। তবে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বুধবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর শুরু হবে বুদ্ধ মূর্তির পূজা অর্চনা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটি রাজ বন বিহারের প্রধান ও মহাপরিনির্বান প্রাপ্ত মহাসাধক সাধনানন্দ মহাস্থবির (বনভান্তে)-এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে জুরাছড়ি উপজেলার সুবলং শাখা বনবিহারে এ বুদ্ধ মূর্তি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন স্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। অর্থ সংগ্রহের পর ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় বুদ্ধ মূর্তি নির্মাণ কাজ। বুদ্ধ মূর্তির স্থপতি ছিলেন বিশ্বজিৎ বড়ুয়া, প্রকৌশলী প্রতিপদ দেওয়ান ও দয়াল চন্দ্র চাকমা। প্রকৌশলী ছিলেন তৃপ্তি শংকর চাকমা ও অঙ্কনের দায়িত্বে ছিলেন বিমলানন্দ স্থবির। দীর্ঘ ৫ বছর পর ২০২১ সালে সম্পন্ন হয় মূর্তির নির্মাণ কাজ।

রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা বলেন, প্রায় সাড়ে ১২ একর জায়গার উপর নির্মাণ করা হয় দেশের এ বৃহত্তম বুদ্ধ মূর্তিটি। যার দৈর্ঘ্য ১২৬ ফুট। তবে এ মূর্তি নির্মাণে কোনো প্রকার সরকারি অনুদান নেওয়া হয়নি। মূর্তি নির্মাণের টাকা পুরোটাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষের। ৪ কোটি অর্থ জোগাড় করতে অনেক কষ্ট হলেও অসম্ভব ছিল না। সবাই এগিয়ে এসেছে মূর্তি নির্মাণের জন্য।

আগামীকাল বুধবার থেকে তিন দিনব্যাপী বুদ্ধ মূর্তিটি উদ্বোধন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিহার কর্তৃপক্ষ। এতে দেশ-বিদেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা অংশ গ্রহণ করা কথা রয়েছে। তবে এই বৃহত্তম বুদ্ধমূর্তি উদ্বোধন করবেন রাঙামাটি রাজ বনবিহারের আবাসিক প্রধান ও বনভান্তের প্রধান শীর্ষ বৌদ্ধ ভিক্ষু প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির।