১৬ প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার নাসিম

বিভিন্ন নামের ১৬টি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতারণা করতেন নাসিম রিয়েল এস্টেটর মালিক মো. ইমাম হোসেন নাসিম (৬৬)। প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৩শ' কোটি টাকা।
প্রতিষ্ঠান গুলো হলো:-
১। নাসিম রিয়েল এস্টেট লি.।
২। নাসিম ডেভলপার লি.।
৩। নাসিম এগ্রো ফুড লি.।
৪। নাসিম বাজার।
৫। এস বি ফাউন্ডেশন।
৬। ডা. বেলায়েত হোসেন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
৭। নাসিম পার্সেল ও কুরিয়ার সার্ভিস।
৮। সাপ্তাহিক ইমারত অর্থ।
৯। নাসিম শিপ বিল্ডার্স।
১০। নাসিম ইঞ্জিনিয়ারিং ও কন্সাল্টেন্সি।
১১। নাসিম ট্রেডিং লি.।
১২। সাহানা আই হাসপাতাল।
১৩। বাংলা নিউজ ১৬।
১৪। নাসিম ড্রিংকিং ওয়াটার।
১৫। নাসিম সুগার।
১৬। নাসিম বেভারেজ।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, নাসিম মোট ১৬টি প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বেলায়েত হোসেন মেডিক্যাল কলেজ, সাহানা আই হাসপাতালের কোন অস্তিত্ব নেই। শুধুমাত্র আমরা একটি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন পেয়েছি। বিএসটিআই অনুমোদিত নাসিম ড্রিংকিং ওয়াটার। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে কোন উৎপাদনে যায়নি।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রুপনগর আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তৃতীয় স্ত্রীসহ নাসিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ৭ দশমিক ৬৫ মিমি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, তিন রাউন্ড গুলি, এক লাখ ৩৫ হাজার জাল টাকা, ১৪শ পিস ইয়াবা, দুই বোতল বিদেশি মদ, চারটি ওয়াকিটকি সেট, ছয়টি পাসপোর্ট, ৩৭টি ব্যাংক চেক বই এবং ৩২টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত নাসিম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদকসহ প্রতারণার চারটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
ভোরের আলো/ভিঅ/০২/২০২০