৩ দিনে ১৩ কোটি টাকার ইলিশ বিক্রি ভোলায়

৩ দিনে ১৩ কোটি টাকার ইলিশ বিক্রি ভোলায়

ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদী ও সাগরে বেড়েছে ইলিশের উৎপাদন। এতে সন্তুষ্ট জেলেরা।

এ সময়টায় ভোলার উপকূলের মৎস্যঘাটগুলোতে যেন ইলিশ কেনা-বেচার ধুম পড়েছে। জেলেদের আহরিত এসব ইলিশ চলে যাচ্ছে ঢাকা, চাঁদপুর, বরিশাল ও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

মৎস্য বিভাগ বলছে, গত তিন দিনে জেলায় ২৬০ মেট্রিক টন ইলিশ আহরিত হয়েছে। যেগুলো অন্তত ১৩ কোটি টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এসব ইলিশ জেলার ৬০টি আড়তে কেনা-বেচা হয়েছে এবং এটি বিগত কয়েক বছরেও তুলনায় অনেক বেশি।

গত ২৮ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকে ৩১ অক্টোবর সন্ধা পর্যন্ত এসব মাছের কেনা-বেচা হয়।

ভোলা সদরের তুলাতলী, ভোলার খাল ও ইলিশাসহ বেশ কয়েটি ঘাট খুরে দেখা গেছে, ইলিশের কেনা-বেচায় সরগরম মাছের আড়ৎগুলো। ঘাটগুলোতে নৌকা-ট্রলার ইলিশ নিয়ে সেগুলো আড়তে রেখে আবার চলে যাচ্ছে মাছ শিকারে। কারো যেন বসে থাকার সময় নেই। আর ঘাটগুলো জেলে, পাইকার ও আড়ৎদারদের হাকডাকে সুখরিত। কেউ ব্যস্ত ইলিশ বিক্রি নিয়ে, কেউবা, প্যাকেজ তৈরি ও বরফ দেওয়া নিয়ে। আবার কেউ ব্যস্ত ঝুড়ি প্রস্তুত করতে।

জেলে রহিম, সিরাজ মাঝি ও ছিদ্দিক বলেন, আমরা প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ পাচ্ছি। এমন অবস্থা থাকলে বিগত দিনের সংকট দূর হবে।

তুলাতলী ঘাটের আড়ৎদার মনজুর আলম বলেন, গত তিন দিন ধরে জেলেদের জালে প্রচুর পরিমানে ইলিশ ধরা পড়ছে। এর মধ্যে প্রথম দিনে ৭০ লাখ টাকার ইলিশের কেনাবেচা হয়েছে। এছাড়া গত তিন দিন ধরে এ ঘাটে এক কোটি টাকার ইলিশ কেনা-বেচা হয়েছে।

শুধু তুলাতলী নয় মাছের সরবরাহ বেড়েছে অন্যান্য ঘটগুলোতেও। তবে এবারে দাম কিছুটা চড়া।

এক কেজি ওজনের জালি প্রতি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪ হজার টাকা, মাঝারি সাইজের তিন হাজার ৫০০ টাকা, ছোট সাইজের ২০০ টাকা এবং ঝাটকা বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৫০০ টাকা দরে।

ক্রেতা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, নদীতে পর্যাপ্ত ইলিশ আছে, বাজারেও সরবরাহ বেশি। কিন্তু তবুও ইলিশের দাম আর কমছে না।

তবে আড়ৎদাররা জানিয়েছেন, মাছের উৎপাদন এমন থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দাম কিছুটা কমতে পারে।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যা বলেন, অভিযান সফল হওয়াতে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। গত তিন দিনেই বিক্রি হয়েছে ১৩ কোটি টাকার ইলিশ। আশা করছি, এ বছর ইলিশের লক্ষ্যমাত্র এক লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন। সেই লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে। বিগত সময়ের চেয়ে ইলিশের উৎপাদনও অনেক বেশি হয়েছে।