৩০০ রোহিঙ্গা পরিবার’ স্বেচ্ছায় ভাসানচরে

৩০০ রোহিঙ্গা পরিবার’ স্বেচ্ছায় ভাসানচরে

কক্সবাজারের ঘিঞ্জি শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে ‘৩০০ রোহিঙ্গা পরিবার’ স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। এসব পরিবারের জনসংখ্যা হাজারখানেক। এসব পরিবারকে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দ্রুতই সেখানে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। তবে এ বিষয়ে সরকারের কোনও কর্মকর্তা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও তথ্য দিতে রাজি হননি। বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে খোঁজ নিয়েও এমন তথ্যের সত্যতা মিলেছে। তবে শেষ সময়ে এই সংখ্যার হেরফেরও হতে পারে।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অব্যাহত হামলা, নিপীড়ন ও হত্যার কারণে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয় সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এছাড়াও এর আগে এসে আশ্রয় নিয়েছিল বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা। বর্তমানে তাদের সংখ্যা কমপক্ষে ১১ লাখ। বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘ ও অন্যান্য দেশের সহায়তায় কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ক্যাম্প নির্মাণ করে তাদের আশ্রয় দিলেও তাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি বরাবরই দাবি জানিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে জোরালো আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। এরপরও আশ্রয় দেওয়ায় তাদের মানবিক নানা সুযোগ সুবিধার ব্যাপারও সরকারকে ভাবাচ্ছে। তাই এ পরিস্থিতির মধ্যেই রোহিঙ্গাদের উখিয়া ও টেকনাফের ঘিঞ্জি ক্যাম্পগুলো থেকে সরিয়ে আরও নিরাপদে রাখতে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচরে নিজস্ব অর্থায়নে বিপুল ব্যয়ে আশ্রয় ক্যাম্প নির্মাণ করে সেখানে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ভাসানচরের আশ্রয় ক্যাম্পে কমপক্ষে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করতে পারবে।