রাজধানীর খামারবাড়িতে শেষ হলো তিন দিনের জাতীয় ফল মেলা। এবারের মেলায় প্রায় ৮০ লাখ টাকার ফল বিক্রি হয়েছে; যা গতবারের তুলনায় ৩০ লাখ টাকা বেশি।
আজ (মঙ্গলবার) আ.কা. মু গিয়াস উদ্দিন মিলকী অডিটোরিয়ামে পুরস্কার প্রদানের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় মেলার আনুষ্ঠানিকতা। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) সনৎ কুমার সাহা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ এস এম আনোয়ারুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মীর নূরুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শাহ মো. আকরামুল হক।
রোববার ‘পরিকল্পিত ফল চাষ জোগাবে পুষ্টিসম্মত খাবার’ প্রতিপাদ্যে শুরু হয় এ মেলা। মেলায় সরকারি ৭টি ও বেসরকারি ৫৭টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৬৪টি স্টলে বিভিন্ন জাতের ফল প্রদর্শন ও বিক্রি করা হয়।
আম, কাঁঠাল, লিচু, জাম, কলাসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন বাহারি ফল প্রদর্শনের জন্য সরকারি স্টল হিসেবে প্রথম হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে যৌথভাবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে কৃষি তথ্য সার্ভিস ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রথম হয়েছে খাগড়াছড়ির গ্রিন টার্চ এগ্রো, যৌথভাবে দ্বিতীয় হবিগঞ্জের মো. বদু মিয়া ও ঢাকার ভাই ভাই ফল বিতান এবং যৌথভাবে তৃতীয় হয়েছে বরিশালের মেসার্স মা ফুড লিমিটেড ও ঢাকার স্বপ্না ফলের খাবার।
ঢাকা শহরে বাড়ির ছাদে ফলবাগান সৃজনে বিশেষ সফলতার জন্য পুরস্কার পান কামরাঙ্গীরচরের সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ও মাফিয়া বেগম এবং রায়েরবাজারের মো. আজিজ আহম্মেদ।
ব্যক্তি উদ্যোগে ফল বাগান সৃজনে বিশেষ অবদানের জন্য প্রথম পুরস্কার পান খাগড়াছড়ির হাশিং মং চৌধুরী, পাবনার মোছা. নুরুন্নাহার বেগম ২য় ও শেরপুরের মো. হযরত আলী ৩য় পুরস্কার অর্জন করেন।
প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে রংপুরের নাশিক প্লান্ট অ্যান্ড পট, নওগাঁর মানবসেবা সংগঠন ও জামালপুরের হাসনাহেনা নার্সারিকে যথাক্রমে ১ম, ২য় ও ৩য় পুরস্কার প্রদান করা হয়।
জেলা পর্যায়ে ফলদ বৃক্ষরোপণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও বরগুনা জেলাকে ১ম, ২য় এবং ৩য় পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এছাড়া জাতীয় ফল প্রদর্শনী উপলক্ষে কৃষি তথ্য সার্ভিস আয়োজিত রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১৫ ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।