‘আবার হামলার শিকার হতে পারেন’ লন্ডনের বাংলাদেশিরা

১৯৯৯ সালের মতো আবার লন্ডনে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসী, কৃষ্ণাঙ্গ এবং সমকামী কমিউনিটির মানুষদের ওপর উগ্র-ডানপন্থীরা হামলা করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার বহুল আলোচিত একজন সোর্স।
২১ বছর আগে কট্টর ডানপন্থী উগ্রবাদী ডেভিড কোপল্যান্ড ব্রিক্সটন, ব্রিক লেন এবং সোহোতে যে হামলাটি চালিয়েছেন, তার রহস্য উন্মোচন করেন ছদ্মবেশী ওই সোর্স। তিনিই কোপল্যান্ডকে ধরিয়ে দেন।
কোপল্যান্ড সেদিন তিনটি শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। ওই ঘটনায় ১৪০ জন গুরুতর আহত হওয়ার পাশাপাশি ৩ জন প্রাণ হারান। বেঁচে থাকাদের মধ্যে অনেকে এখন পঙ্গু।
কোপল্যান্ড তার ডিভাইসে ১ হাজারের বেশি চার ইঞ্চি লম্বা পেরেক ঢুকিয়ে ওই হামলা চালান। ২০০০ সালে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর যাবজ্জীবন সাজা পান।
ব্রিটেনের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের সাপ্তাহিক আয়োজন দ্য অবজারভারের প্রতিবেদনে ওই সোর্সকে ‘আরথার’ নামে পরিচয় করানো হয়েছে। এটি তার কোডনেম বা সাংকেতিক নাম।
আরথার বলছেন, অনলাইনে যেভাবে উগ্র মতবাদ ছড়াচ্ছে তাতে আরেকটি হামলা আসন্ন।
তিনি অবজারভারকে বলেছেন, ‘১৯৯৯ সালের ৩০ এপ্রিল একটি ছবি দেখে কোপল্যান্ডকে চিনতে পারেন। ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডের প্রথম পাতায় ছবিটি প্রকাশিত হয়। তিনি তথ্য দেয়ার আগ পর্যন্ত কোপল্যান্ড সম্পর্কে পুলিশের কোনো ধারণাই ছিল না।’
সেই থেকে এখন পর্যন্ত কঠোর গোপনীয়তায় আরথারের পরিচয় সুরক্ষিত রাখা হয়েছে।
তিনি বলছেন, ‘অন্ধ নাৎসি হোক কিংবা বর্ণবাদী; সেই নব্বই দশকের মতো এখন মানুষের দোরগোড়ায় উগ্রবাদ পৌঁছানো খুব সহজ। অনলাইনে কিছু একটা ছেড়ে দিলেই হল।’
‘আমরা অবশ্যই আরেকটা কোপল্যান্ড দেখব। তিনি নারী কিংবা পুরুষ হন, বোঝা উচিত নিজেদের জীবনও শেষ করবেন। কোপল্যান্ড তিন সপ্তাহ উত্তেজনা ছড়িয়ে এখন কারাগারে বন্দী। হয়তো সারা জীবনই সেখানে কাটাতে হবে। এটা শুধু বাজে কাজ নয়; মূর্খের জীবন বেছে নেয়া।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরথারের সতর্কবার্তা পাওয়ার পর অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। সর্বশেষ বুধবার দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কীভাবে বাড়িতে বিস্ফোরক বানাতে হয়, অনলাইনে সেই প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন এই দুই ব্যক্তি।