‘পর্যটন প্রসারে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে’

‘পর্যটন প্রসারে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে’

দেশের পর্যটন প্রসারে প্রচারণার দিকে বিশেষ মনোযোগ দিতে বলেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি বলেন, ‌‘দেশের ইতিবাচক ইমেজ বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে।’ বৃহস্পতিবার (২৬ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পর্যটন মাস্টার প্ল্যান বিষয়ক এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ক্ষুদ্র সময়ে আমার সীমাবদ্ধতায় যতটুকু দেখেছি, আমাদের দেশ অনেক সুন্দর, অনেক নান্দনিক। এই বিষয়গুলো মানুষকে জানাতে হবে। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। এ দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। প্রচার নিয়ে আমরা আগে চিন্তা করিনি, এখন চিন্তা করছি।’

এ সময় প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, ‘সব কিছুতেই আমরা যখন মনে করি, আমাদের করতে হবে; তখন কিন্তু সফল হই। এটা অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়। বস্তুতপক্ষে পর্যটনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। আমাদের যে সংস্কৃতি সেটা পর্যটনবান্ধব। তবে আমাদের আরও উদার হতে হবে। আমাদের দেশে পর্যটকদের ধারণ করতে যে যে উপাদানগুলো দরকার, তার সবই আছে। আমি বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত আমাদের যে মূল্যবোধগুলো যদি আমরা ধারণ করি, সেখানেই পর্যটনকে প্রোমোট করার সবকিছু আছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পর্যটনের একটি বড় ধরনের উপকরণ। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব বেড়েছে, পশের দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।’

পর্যটন মাস্টার প্ল্যানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই যে মাস্টার প্ল্যান আমরা করতে যাচ্ছি, সুপরিকল্পিতভাবে পরিবেশের কোনও ক্ষতি না করে এটা করতে হবে। আমাদের মাস্টার প্ল্যানের মূল বিষয় হবে, পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সবকিছু করা। যেমন: বরিশালে রিভারাইন ট্যুরিজম। পাহাড়ের সঙ্গে যেটা সামঞ্জস্যপূর্ণ সেখানকার ইকো সিস্টেম মেইনটেইন করে ট্যুরিজমের ব্যবস্থা আমাদের করতে হবে। যে বড় প্রকল্পগুলো হয়েছে দেশে, কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন বলেন বা এয়ারপোর্টগুলো, এই যে পদ্মা ব্রিজ—এগুলো সবই পর্যটনকে প্রমোট করবে।’

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই পর্যটন মাস্টার প্ল্যান চূড়ান্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, এখন বাংলাদেশ পর্যটনে যে অবস্থায় রয়েছে এটিকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবো। আমাদের যে ১১শ’ পর্যটন স্পট রয়েছে; এগুলোতে পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।  পর্যটন মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে সমন্বিতভাবে পর্যটন উন্নয়ন হবে।’

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন অংশীজন কর্মশালায় অংশ নেন।